জামালপুরের বকশীগঞ্জে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে ১৩ টি গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
রোববার (২৬ মে) চর আইরমারী আক্কাস আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এঘটনা ঘটে।
সরকারি গাছ কেটে নেওয়ার ঘটনায় ব্যবস্থার নেওয়ার কথা জানিয়েছে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বকশীগঞ্জ উপজেলার সাধুরপাড়া ইউনিয়নের চর আইরমারী আক্কাস আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়ের জমিদাতা আক্কাস আলী বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার জন্য ৩০ শতাংশ জমি দান করেন। প্রতিষ্ঠার বছরই বিদ্যালয়ের সীমানা সংলগ্ন অর্ধশতাধিক আকাশ মনি গাছ রোপণ করা হয়।
রোববার সকালে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে না জানিয়ে প্রায় ৫০ হাজার টাকা মূল্যের ১৩ টি আকাশমনি গাছ কেটে নেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য নেতা রশিদুল ইসলাম।
বিদ্যালয় খোলার পর গাছ কাটা দেখে উপজেলা শিক্ষা দপ্তরকে অবগত করেন বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. সুজাদুল ইসলাম।
এঘটনায় এলাকায় তোলপাড় শুরু হলে গাছ গুলো জব্দ করার প্রক্রিয়া চালান উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবু হাসান মো. রেজাউল করিম।
তবে কেটে নেওয়া গাছ গুলো বিদ্যালয়ের নয় বলে দাবি করেন এসএমসির সভাপতি রশিদুল ইসলাম।
ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রশিদুল ইসলাম বলেন, আমার বাবা বিদ্যালয়ের জমি দাতা। যে গাছ গুলো কাটা হয়েছে সেগুলো বিদ্যালয়ের সীমানার বাইরের গাছ। আমি আমার জমির গাছই কেটেছি।
এব্যাপারে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. সুজাদুল ইসলাম বলেন, সকালে বিদ্যালয়ে এসে দেখি বিদ্যালয়ের সভাপতি গাছ গুলো কেটে ফেলে রেখেছেন। কাউকে না জানিয়ে গাছ কেটে নেওয়ায় আমার বিদ্যালয়ের ক্ষতি হয়েছে। তাই আমি বিদ্যালয়ের স্বার্থে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে গাছ কাটার বিষয়ে অবগত করেছি।
বকশীগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবু হাসান মো. রেজাউল করিম জানান, ঘটনাটি জানার সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টার প্রধান সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। তার কাছ থেকে প্রতিবেদন পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সরকারি গাছ কেটে নেওয়ার ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা ওেনওয়া হবে এমনটাই দাবি এলাকাবাসীর।