গভীর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ এর ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। উপকূলের সর্বত্র মাইকিং করে জনসাধারণকে সতর্ক করছে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কেন্দ্রের (সিপিপি) স্বেচ্ছাসেবকরা। এ বিষয়ে জনগণকে সচেতন করে তাদের জানমাল নিরাপদে রাখতে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে মাইকিং করা হচ্ছে। উপজেলায় ৫৯টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া প্রয়োজনে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সরকারী অবকাঠামো দুর্যোগকালীন সময়ে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে। দুর্যোগে আক্রান্ত হলেও সবগুলো সাইক্লোন শেল্টারে পর্যাপ্ত খাদ্য মজুদ রাখা হয়েছে বলে জানান উপজেলা প্রশাসন। ঘূর্ণিঝড় বিষয়ে জনসাধারণকে অবগত করার জন্য ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট স্থানসমূহে বিশেষ পতাকা টানানো হয়েছে। বন্ধ রাখা হয়েছে চট্টগ্রাম-কুমিরা ঘাট। কুমিরা থেকে সন্দ্বীপে এবং সন্দ্বীপ থেকে কুমিরার উদ্দেশ্যে যাত্রীবাহী কোন বোট ছেড়ে যায়নি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে এম রফিকুল ইসলাম সকালে কুমিরা-সন্দ্বীপ ঘাটসহ বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে বলেছেন, দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরণের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে শুকনো খাবার, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেটসহ সবধরণের সরঞ্জাম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবেলায় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশসহ আইনশৃংখলা বাহিনীর সাথে সমন্বয়ক রেখে কাজ করে যাচ্ছি।