বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ফেনীর ছাগলনাইয়ার উপজেলা চেয়ারম্যান মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে বেতনভাতা গাড়ীসহ যেসব সুযোগ সুবিধা নিয়েছেন তা আপাতত ফেরত দিতে হচ্ছে না।
অর্থাৎ এ বিষয়ে হাই কোর্টের দেওয়া আদেশের উপর আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত স্থিতাবস্থা জারি করেছেন।
এ আদেশের ফলে চেয়ারম্যান হিসেবে মেজবাউল হায়দার চৌধুরী দায়িত্ব পালনে বহাল থাকবেন।
রোববার (২৬ মে) এ বিষয়ে হাই কোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে করা এক আবেদনের শুনানি করে চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন। আগামী ৮ সপ্তাহের জন্য এ আদেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ আদালতে মেজবাউর হায়দার চৌধুরীর পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী শ ম রেজাউল করিম ও মো. অজি উল্লাহ। অপরদিকে রাষ্ট্র পক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাইনুল হাসান।
এর আগে গত ১৬ মে এ বিষয়ে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ উপজেলা চেয়ারম্যান মেজবাউল হায়দার চৌধুরীর দায়িত্ব পালন অবৈধ ঘোষণার পাশাপাশি ,বেতনভাতা গাড়ীসহ সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা ফেরত দিতে নির্দেশ দেন।
ওইদিন হাই কোর্ট বলেছিলেন, ২০১৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে যত বেতন-ভাতা ও সুবিধাদি গ্রহণ করেছেন সেটি আগামী ৯০ দিনের (তিন মাস) মধ্যে ফেরত দিতে হবে। সেই আদেশের উপর আজকে স্থিতাবস্থা জারি করা হলো।
রায়ে ওই সময়ের উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল হালিমের প্রার্থিতা অবৈধ ঘোষণা করা হয়। অপর প্রার্থী এ এস এম শহিদুল্লাহ মজুমদারের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্তকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়।
২০১৯ সালেই হাইকোর্ট এসব বিষয়ে রুল জারি করেন। একইসঙ্গে ছাগলনাইয়ার উপজেলা চেয়ারম্যানের গেজেট স্থগিত করেন। পরে চেম্বার আদালত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন। তবে আইনি জটিলতায় মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে শপথ নিতে পারেননি। শপথ না নিয়ে তিনি উপজেলা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।