গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদে চিহ্নিত কিশোর গ্যাং সদস্যদের হাতে সাগর মন্ডল (১৫) নামের এক কিশোর মারপিটের শিকার হয়েছেন মর্মে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় সাগর মন্ডলের দাদা সোনা মিয়া মন্ডল (৬৫) শ্রীপুর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। সাগর মন্ডল বর্তমানে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এর আগে সে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা নেয়।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়- কাওরাইদ ইউনিয়নের বেলদিয়া গ্রামের তামীম (২০), মেহেদী (২০), রুমান (১৯), মুসাব্বির (১৯) ও ফাহিম (১৮)সহ হিন্দু পাড়ার জিম (১৮) ও ত্রিমহনীর শিমন (২০)গং স্থানীয় কিশোর গ্যাং এর সদস্য এবং নেশাগ্রস্ত। তারা কাওরাইদ উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়ুয়া সোনা মিয়া মন্ডলের নাতি সাগর মন্ডলকে প্রায় সময়েই অহেতুক বিরক্ত করে থাকে। যে কারণে বেশ কয়েকবার এলাকায় বসে বিষয়টি মীমাংসা করা হয়।
কিন্তু কিছুতেই ওরা শান্ত হয়না। অকারণেই তারা সাগর মন্ডলকে মারপিট পর্যন্ত করে। এরই ধারাবাহিকতায় তারা ২৪ মে কাওরাইদ স্কুল মাঠে খেলাÑধূলা শেষে বাড়ি পথে সাগর মন্ডল ও তার বন্ধু হাসান মুন্নাকে কাওরাইদ রেল স্টেশনের পূর্ব পাশের্^ বট তলায় পথরোধ করে আটকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করতে থাকে।
তারা গালাগালের কারণ জিজ্ঞাসা করায় লাঠি-সোটা দিয়ে তাদের উপর হামলা করে মারপিট করে। ওই সময় সাগর মন্ডল ও তার বন্ধুর ডাক চিৎকারে লোকজন এগিয়ে গেলে তারা চলে যায়। তাদের মারপিটে সাগর মন্ডলের শরীরে নীলা ফুলা ও ব্যাথাযুক্ত জখম সৃষ্টি হয়।
সাগর মন্ডল বাড়ি ফিরে তার দাদা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরকি ঘটনাটি অবহিত করলে তারা হামলাকারিদের অভিভাবকদের মধ্যে একজন মামুন (৫০) কে বিষয়টি অবহিত করেন। তাতে ক্ষিপ্ত হয়ে অভিভাবক মামুন সাগর মন্ডলের বৃদ্ধ দাদার উপরেও হাত উঠায় এবং তাকে হুকমী ধামকী দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়।
বৃদ্ধ দাদা সোনা মিয়া মন্ডল এ প্রতিবেদককে জানান- বর্তমানে আমাদের পরিবার হুমকীর সম্মুখিন। যে কোন সময় কিশোর গ্যাং সদস্যরা আমাদেরকে খুন-জখম করতে পারে। ফলে তারা থানা পুলিশ ও প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করছেন।