রবিবার, ১৬ জুন ২০২৪, ১০:০৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম
শিরোনাম
মতলব উত্তরে ব্যবসায়ীর পায়ের রগ কেটে দিল সন্ত্রাসীরা চাঁদপুর শ্রম কল্যাণ কেন্দ্রের আয়োজনে এবং ‘বিজয়ীর’ সহযোগিতায় ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত সীতাকুণ্ডে সমুদ্রে ডুবে দুই শিশু নিহত ছেংগারচর পৌরসভায় প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার বিতরণ  দেশ-বিদেশের সকলকে পবিত্র ঈদ-উল-আযহার শুভেচ্ছা জানালেন খালেদ মাহমুদ সেজান পবিত্র ঈদ উল আযহা উপলক্ষে সকলকে শুভেচ্ছা জানালেন মেহের আফরোজ চুমকি এমপি ১৭ই জুন  মোবারক হোসেন বাবুর ১ম মৃত্যু বার্ষিকী বকশীগঞ্জে সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিমের ১ম মৃত্যু বার্ষিকী পালিত হাটহাজারী নেহালপুরে বাসুদেব স্কুল এন্ড কলেজের উদ্বোধন নান্দাইলের মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়নে ভিজিএফ চাল বিতরণে হরিলুট পাঁচবিবিতে ট্রেনের ধাক্কায় এক যুবক নিহত মোছাফ্ফাহ সাবিয়া ১২ নং বাংলাদেশী “ঢাকা ফার্ম হাউস” ভেজিটেবল এন্ড ফ্রুটস এলএলসি’র শুভ উদ্বোধন ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তাঁতীলীগের নেতা রঞ্জু সাভারের ১২ কিলোমিটার যানজট, নিরসনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এতিম মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর পাশে পুলিশ কর্মকর্তা মাকারিয়াস দাস
বিজ্ঞপ্তি :
বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রানালয়ে আবেদনকৃত।

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল

স্বপন কুমার রায় খুলনা ব্যুরো প্রধান / ৮৯ সংবাদটি পড়েছেন
প্রকাশ: শুক্রবার, ২৪ মে, ২০২৪, ১:৫৪ পূর্বাহ্ণ

গত বছরের ডিসেম্বর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট সর্বশেষ ঘূর্ণিঝড় ছিল মিগযাউম। অতঃপর পাঁচ মাস সাগর ছিল নিরুত্তাল। পুনরায় চোখ রাঙাচ্ছে বড় ঘূর্ণাবর্ত। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, দক্ষিণ মধ্য বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট মৌসুমের প্রথম ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ শুক্রবারের পর তার গতিপথ চূড়ান্ত করতে পারে।
এটি বাংলাদেশের খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় জেলাগুলোতে প্রচণ্ড গতিতে আঘাত হানতে পারে বলে এখনই ধারণা করা হচ্ছে। এ সময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার; যা দমকা হাওয়াসহ ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়তে পারে। ঘূর্ণিঝড়টি যদি জোয়ারের সময় উপকূলে আঘাত হানা শুরু করে, তবে বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় এলাকাগুলো স্বাভাবিকের চেয়ে ৫ থেকে ১০ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হওয়ার প্রবল আশঙ্কা করা যাচ্ছে।
আবহাওয়া বিশ্লেষকরা বলছেন, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া লঘুচাপটি ধীরে ধীরে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের দিকে সরে আসছে। শক্তি বাড়িয়ে এটি কাল শুক্রবার শেষ রাতের দিকে নিম্নচাপ এবং শনিবার এটি উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে এসে পৌঁছাবে। সেদিনই প্রবল সাইক্লোনে রূপ পরিগ্রহ করতে পারে। এর ব্যাপ্তি এবং স্থায়িত্ব অন্যান্য ঘূর্ণিঝড়ের থেকে প্রবল হতে পারে। গতকাল রাত ১০টায় লঘুচাপ কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৩৫ থেকে ৪৫ কিলোমিটার, যা ৫৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছিল। আজ বৃহস্পতিবার গতিবেগ ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তার পরদিন এটির গতি বাড়তে পারে ৭০ কিলোমিটারে। তবে লঘুচাপটি এখনো বাংলাদেশের উপকূল থেকে অনেক দূরে এবং তামিলনাড়ু ও অন্ধ্র উপকূলের কাছাকাছি থাকায় দেশের মাছ ধরা ট্রলার ও নৌকাগুলোর জন্য কোনো সতর্কতা নেই।
এদিকে জাপানের কৃত্রিম ভূউপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত চিত্র থেকে মেঘের শীর্ষের তাপমাত্রা ও মেঘের গঠন বিশ্লেষণ করে কানাডার সাসকোচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ বলেন, গতকাল বুধবার সকাল ৯টার পর দক্ষিণ মধ্য বঙ্গোপসাগরে ভারতের আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে (ব্লেয়ার বন্দরের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে) একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তরও বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ ২৬ মে সকাল ৬টার পর থেকে রাত ১২টার মধ্যে বরিশাল বিভাগের বরগুনা জেলা থেকে শুরু করে; চট্টগ্রাম বিভাগের কক্সবাজার জেলার মধ্যবর্তী উপকূলীয় এলাকার ওপর দিয়ে স্থলভাগে আঘাত করতে পারে।
তিনি আরো বলেন, ঘূর্ণিঝড় বৃত্তের অগ্রবর্তী অংশ উপকূলীয় এলাকায় প্রবেশ করতে পারে সকাল ৬টার পর থেকে। ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্র উপকূল অতিক্রম করার সম্ভাব্য সময় ২৬ মে দুপুর ১২টার পর থেকে বিকাল ৬টার মধ্যে। ঘূর্ণিঝড় বৃত্তের পেছন দিকের অর্ধেক অংশ পুরোপুরি স্থলভাগে প্রবেশ করতে রাত ১২টা পর্যন্ত লেগে যেতে পারে। তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড়টি যদি জোয়ারের সময় উপকূলে আঘাত হানা শুরু করে, তবে বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় এলাকাগুলো স্বাভাবিকের চেয়ে ৫ থেকে ১০ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হওয়ার প্রবল আশঙ্কা করা যাচ্ছে। বাংলাদেশের খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় জেলাগুলোর উপকূলে আঘাতের সময় ঘূর্ণিঝড়টির বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার; যা দমকা হাওয়াসহ ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়তে পারে।
ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর মিডিয়াম রেঞ্জ ওয়েদার ফোরকাস্ট (ইসিএমডব্লিউএফ) জানিয়েছে, আজ বৃহস্পতিবার বা শুক্রবারের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। এটি বাংলাদেশের দক্ষিণে সুন্দরবনের কাছে ২৬ থেকে ২৭ মে আঘাত হানতে পারে।
আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদ জানিয়েছেন, বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। লঘুচাপটি আগামীকাল শুক্র বা শনিবার নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। পরে এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।
ভারতের আবহাওয়া বিজ্ঞানী এম শর্মা জানিয়েছেন, শনিবার ঘূর্ণিঝড় রিমালে পরিণত হতে পারে। লঘুচাপটির সর্বোচ্চ শক্তি সঞ্চয় করার সম্ভাবনা রয়েছে। কোনো কোনো মডেল বলছে, এটির গতিপথ হতে পারে বাংলাদেশ-মিয়ানমার উপকূলের দিকে। আবার কোনো কোনো মডেল বলছে, পশ্চিমবঙ্গে এটি আছড়ে পড়তে পারে। উপকূলে আসতে আঘাত করবে আগামী ২৬ মের দিকে।
আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক বলেন, বর্তমান যে প্রেডিকশন, তাতে দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশ, মিয়ানমার বা ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, উড়িষ্যা এই অঞ্চলের দিকেই এর গতিপথ। তবে এর গতিপথ ক্ষণে ক্ষণে পরিবর্তিত হচ্ছে। আজ বা কাল শুক্রবারের মধ্যে লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। পরে ২৪ মে রাতে বা ২৫ মে সকালের দিকে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। তিনি বলেন, প্রতিনিয়ত এটার গতিপথ পরিবর্তিত হচ্ছে, রাতে একটা গতিপথ থাকছে, আবার সকালে আরেকটা হচ্ছে; অর্থাত যতক্ষণ পর্যন্ত না নিম্নচাপে রূপ নেয়, ততক্ষণ পর্যন্ত তার আগের সব গতিপথ পরিবর্তিত হবে। যখন নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে, তখন গতিপথ স্থির হবে। তখন স্পষ্টভাবে বলা যাবে, এটা কোন এলাকায় বা স্থানে আঘাত হানতে পারে।


এ বিভাগের আরও সংবাদ

আর্কাইভ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Don`t copy text!
Don`t copy text!