সিরাজদিখানে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিক লাঞ্ছিত
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায় সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিককে
শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করার অভিযোগ উঠেছে।গত বুধবার বিকালে উপজেলার কোলা ইউনিয়নের ছাতিয়ানতলী সড়কে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুই স্কুল শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়।
ওই দুই শিক্ষার্থীর বাড়িতে স্বজনদের আহাজারির ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করতে গেলে ওই এলাকায় পরিচিত আতব আলী শেখের ছেলে আবুল শেখ (৪০) ট্রাইবুন্যাল ইংরেজি পত্রিকা ও বাংলা অধিকরন পত্রিকার সিরাজদিখান প্রতিনিধি মোঃ শহিদ শেখকে মারধর করে মোবাইল ক্যামেরা ফোন নিয়ে যায়।
মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে তারা ক্ষ্যান্ত হয়নি। বাড়ির বাহিরে নিয়ে আবুল শেখের নেতৃত্বে আরো ১০ থেকে ১২ জন সংঘবদ্ধ ভাবে সাংবাদিক মোঃ শহিদ শেখকে লাঞ্ছিত ও প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
এবিষয়ে সাংবাদিক শহিদ শেখ সিরাজদিখান থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন সিরাজদিখান প্রেসক্লাব সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ সাংবাদিক ও সচেতন মহল। ঘটনার পর থেকেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ওই সাংবাদিক।
সাংবাদিক মোঃ শহিদ শেখ বলেন, আমি আমার মেয়েকে নিয়ে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলাম। মোবাইল ফোনে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তথ্য সংগ্রহে আমি ছুটে যাই সেখানে। এ সময় বাড়িতে নিহত শিক্ষার্থীর স্বজন কান্নাকাটি করছিল। আমি মোবাইল ক্যামেরা বের করতেই আতব আলী শেখের ছেলে আবুল শেখ আমার দিকে তেড়ে আসে। কোন কিছু না বলে আমার দু হাত ধরে টানতে থাকে। মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমাকে মারধর করে বাড়ির বাইরে নিয়ে যায়। সেখানে থাকা আরো ১০ থেকে ১২ জন এলোপাথারি ভাবে মারতে মারতে আমাকে পাশের খালে ফেলে দেয়। আমার গলায় থাকা ০৬ আনি ওজনের স্বর্নের চেইন যাহার মূল্য অনুমান ৩০,০০০/-টাকা ও আমার ব্যবহৃত অপ্পো এফ-১৫ স্মার্ট মোবাইল ফোন, যাহার মূল্য অনুমান ২৭,০০০/-টাকা নিয়া যায়। উপস্থিত লোকজন এসে আমাকে উদ্ধার করে সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে যায়। বর্তমানে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
এবিষয়ে সিরাজদিখান থানা অফিসার ইনচার্জ মুজাহিদুল ইসলাম সুমন বলেন, একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তের সাপেক্ষে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।