কুড়িগ্রামে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে কুড়িগ্রাম সদর, উলিপুর ও রাজারহাট উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। তবে ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কম থাকলেও পুলিশের তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো।
এদিকে তিন উপজেলায় ৭ লাখ ৮১ হাজার ভোটারের মধ্যে ভোট পড়েছে মাত্র ৩৫ শতাংশ।
এ তথ্য জানিয়েছেন কুড়িগ্রাম জেলা নিবার্চন কর্মকর্তা মোঃ আলমগীর কবির। এছাড়াও তিন উপজেলায় আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর তৎপরতায় কোথাও কোন বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটেনি। বিজিবি, আনছার, র্যাব ও পুলিশের ১২শ সদস্য নিবার্চনের দায়িত্বে নিয়জিত ছিল। এমন ভোটের পরিবেশ দেখে খুশি সাধারণ ভোটাররা।
তিন উপজেলায় ২৮টি ইউনিয়ন ২টি পৌরসভায় ৩১৭টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ চলে। ৭ লাখ ৮১ হাজার ভোটার তাদের ভোটারের মধ্যে মাত্র ৩৫ শতাংশ ভোট পড়ে। অপর দিকে তিন উপজেলায় ৩৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দীতা করছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ১৪ জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১১ জন ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন।
কুড়িগ্রাম সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের ভোটার আব্দুল মতিন বলেন, এবার ভোটের পরিবেশ খুব ভালো ছিল। পুলিশের তৎপরতা দেখে খুব ভালো লেগেছে। যার কারণে আমাদের এখানে কোন ঘটনা ঘটেনি। একটুও হৈচৈ ছিল হয় নাই, সব স্বাভাবিক ছিল।
অন্যদিকে ভোটগ্রহণ শুরুর আগ থেকেই কুড়িগ্রাম সদর, রাজারহাট ও উলিপুর উপজেলার বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করছেন কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ ও পুলিশ সুপার (এসপি) আল আসাদ মোঃ মাহফুজুল ইসলাম।
কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার (এসপি) আল আসাদ মোঃ মাহফুজুল ইসলাম বলেন, আমাদের প্রায় ১ হাজার ২শ পুলিশ সদস্য তিন উপজেলায় নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করেন। আমাদের পুলিশ সদস্যরা কয়েকদিন থেকে অনেক কষ্ট করেছে। যার ফলে আমরা এবং আপনাদের সবার সহযোগিতায় আজ আমরা শান্তিপূর্ণ নিবার্চন উপহার দিতে পেরেছি।