সিলেটের বিশ্বনাথে পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে ৭বছরের শিশু সন্তানসহ হামলার শিকার হয়েছেন ছাতকে এক ব্যবসায়ী। সে সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার ছৈলা আফজলাবাদ ইউপির দীঘলী রামপুর গ্রামের মৃত আব্দুস সোবহানের ছেলে আবুর কয়েছ (৪২)।
গত ৩ মে বিকেলে বিশ্বনাথ উপজেলা বৈরাগী বাজারস্থ ঢাকা ফ্যাশনের সামনে শিশু সন্তানসহ এ হামলার শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় পরদিন ৪ মে বিশ্বনাথ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিলে আসামীরা সরকার দলীয় প্রভাবশালী হওয়ায় থানা কর্তৃপক্ষ তার মামলা গ্রহণ না করে নানা টালবাহানায় প্রায় ৯দিন অতিবাহিত হলে থানায় মামলা নেয়নি।
পরে হামলার শিকার আবুল কয়েছ নিরুপায় হয়ে ও থানায় ব্যর্থ হওয়ার পর ১০ জনের নামে সিলেট আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। গত ১৩ মে সিলেটের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও আমল গ্রহণকারী ০১নং আদালতে এ মামলা দায়ের করে। বিশ্বনাথ বৈরাগী বাজার,মেসার্স ঢাকা ফ্যাশনের মালিক সুলতান মিয়া (৪৮) কে প্রধান আসামী করে ১০ ব্যক্তি নামে সিলেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।
আসামীরা হলেন,মনু মিয়া (৬0) ইউসুফ মিয়া (৫0),উভয় পিতা- মৃত তাহির আলী,মোঃ কাহার মিয়া (৩0), পিতা- অজ্ঞাত মেসার্স ওয়ালটন ডিস্ট্রিবিউটরস, বৈরাগী বাজার, জাকির মিয়া (৩৫) বাবুল মিয়া (৩২), উভয় পিতা- মনু মিয়া,নূর মিয়া (৩৫), রতন (৩০), আকিল বাবু (৪০), সাজিদুর রহমান (৩০)সাজিদুর রহমান (৩০)বিশ্বনাথ সিআর মামলা নং- ১৪২/২০২৪ ইংরেজী। এ মামলাটি তদন্তের জন্য সিলেটের ডিবি পুলিশের কাছে দিয়েছেন আদালত।
বাদি এজাহারে উল্লেখ করেন, বৈরাগী বাজারের ব্যবসায়ী মেসার্স ঢাকা ফ্যাশনের সত্ত্বাধিকারি সুলতান মিয়া (৪৮) এর কাছে কাপড় বিক্রির ১লাখ ৩০হাজার টাকা পান। ইতোমধ্যে মধ্যস্থতায় ১০হাজার টাকা ফেরত পেয়েছেন। গত ৩ মে তার শিশু সন্তানকে সাথে নিয়ে বাকি ১লাখ ২০ হাজার টাকা চাইতে তার ওপর হামলা করা হয়।
এ হামলায় তার শিশু সন্তান সুফিয়ান আহমদ’সহ দুজন আহত হন। বর্তমানে ওই শিশু সন্তান সুফিয়ান আহমদ মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত আছে। এছাড়াও হামলার সময় বাদির বাম পকেট থেকে ব্যবসার ৯০হাজার টাকা ও ৪৫হাজার টাকা দামের একটি স্যামসং মোবাইল ফোন নিয়ে যায় তারা।
আর এঘটনায় আদালতে দেয়া তার এজাহারে আসামি করেছেন মেসার্স ঢাকা ফ্যাশনের সত্ত্বাধিকারি সুলতান মিয়া (৪৮), বৈরাগী বাজার বণিক সমিতির সভাপতি মনু মিয়া (৬০), তার ভাই ইউসুফ মিয়া (৫০) ও বৈরাগী বাজারের মেসার্স ওয়াল্টন ডিস্টিবিউটর কাহার মিয়া (৩০) সহ ১০জনকে। অজ্ঞাতনামা রাখা হয়েছে আরও ৪০/৫০জনকে।
মামলা বাদি আরও অভিযোগ করে বলেন, তিনি ৪ মে হতে বিশ্বনাথ থানায় চার পাঁচবার গিয়ে হয়রানির শিকার হয়েছেন। অবশেষে তিনি ৯দিন পর নিরুপায় হয়ে সিলেটের আদালতে গিয়ে এই মামলা করেছেন।
বিশ্বনাথ জানতে চাইলে থানার ওসি রমা প্রসাদ চক্রবর্তী বলেন, এবিষয়ে থানায় কোনো অভিযোগ দেয়া হয়েছে বলে মনে হয়নি। তবে দেখে বলতে হবে বলে জানান।