জাল ষ্ট্যাম্প দিয়ে প্রবাসীর ৩টি দোকান ঘর দখল নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রহমানের বিরুদ্ধে। এরই মধ্যে সন্ত্রাসী নিয়ে দোকান ঘরে ”ক্রয় সূত্রে মালিক”লেখা সাউন বোর্ড লাগিয়েছে ভুমি দস্যু রহমান। এসময় বাধা দিলে প্রবাসীর স্ত্রী ও ছেলেকে হত্যা করার হুমকী দেয়। ঘটনাটি লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দাসের হাট বাজারে ঘটে। ভুক্তভুগি প্রবাসী আবদুল বাকীর বাড়ি চরশাহী ইউনিয়নের আমজাদ মিয়াজী বাড়ি। অভিযুক্ত রহমান একই বাড়ির গিয়াস উদ্দিনের ছেলে।
সরজমিন ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আবদুল বাকী প্রবাসে থাকে। দাসের হাট বাজারে তার সাড়ে ৪ শতক জমির মধ্যে ৩টি দোকান ঘর আছে। প্রায় এক বছর আগে নগদ টাকার প্রয়োজন হওয়ায় ১টি দোকান ঘরসহ ১ শতক জমি ২০ লাখ টাকা মূল্যে বিক্রির প্রস্তাব করিলে রহমানের ভাই প্রবাসী রহিম ক্রয় করার কথা জানায়। রহিম দেশে আসলে জমি রেজিষ্ট্রে করে বুঝিয়ে দেওয়ার হবে মর্মে কাগজ পত্র ছাড়া রহিমের পক্ষে ভাই রহমান তিন ধাপে ব্যাংকের মাধ্যমে ১২ লাখ টাকা দেয়। কিছুদিন পর রহমান রাতের বেলায় লোকজন নিয়ে প্রবাসীর ঘরে যায়। এবং বায়না চুক্তি করার নাম করে প্রবাসীর পক্ষে স্ত্রী সুমি বেগমকে ভয়ভীতি দেখিয়ে সাদা ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়। কিছুদিন পর রহমান দাসের হাট বাজারে প্রচার করে যে, প্রবাসীর স্ত্রী তার কাছ থেকে সাড়ে ৩ শতক জমি বিক্রির অগ্রিম বাবত ৪৩ লাখ টাকা অগ্রিম নেয়৷ রহমান আরো বলে, এখন জমি না দিলে তাকে টাকা ফেরত দিতে হবে। না হয় দোকান ঘর দখল নিবে। এই খবর পেয়ে সুমি বেগম স্ট্যাম্প উদ্ধারের জন্য আদালতে মামলা করে।
এরই মধ্যে সুচতুর রহমান ষ্ট্যাম্পের মধ্যে সাড়ে ৩ শতক জমি বায়না বাবত আবদুল বাকী পক্ষে স্ত্রী সুমি বেগম ৪৩ লাখ টাকা নেওয়ার কথা উল্লেখ করে এফিডেভিট করে। সেই এফিডেভিট কপি দিয়ে রহমান লোকজন নিয়ে বাজারে দোকান ঘর দখল নেওয়ার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে প্রবাসীর স্ত্রী ও ছেলে জিহান বাধা দিলে হট্টগোল বাধে। এসময় রহমানের সন্ত্রাসীবাহিনী তাদেরকে হত্যার হুমকি দেয়। পরে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বাজার কমিটি এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
ভুক্তিভুগি প্রবাসীর স্ত্রী সুমি বেগম জানান, জমির মালিক আমার স্বামী আবদুল বাকী। জমি বিক্রির কথাবার্তা রহমানের ভাই প্রবাসী রহিমের সাথে হয়।ক্রেতা বিক্রেতা দুইজনই প্রবাসে থাকে। তারা দেশে আসলে রেজিষ্ট্রি করে জমি বুঝিয়ে দেওয়া হবে মর্মে বায়না বাবত ১২ লাখ টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে জমা হয় কিছুদিন পর রহমান বায়না চুক্তির নাম করে রাতের আধাঁরে ঘরে ডুকে সন্ত্রাসী দিয়ে জোর করে আমার থেকে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়। এর পর থেকে রহমান আজগুবি সব কথা ছড়াতে থাকে। আমি এই স্ট্যাম্প উদ্ধারের জন্য আইনের আশ্রয় নেই। এখন সে আমার স্বাক্ষরিত ঐ স্ট্যাম্প দেখিয়ে দোকান ঘর দখল নিতে আসে।
বাজার কমিটির সাধারন সম্পাদক মো: জামাল জানান, লোকজন নিয়ে রহমান দোকান ঘর দখল নেওয়ার চেষ্টা কালে ঝামেলা বাধে। পরে উভয় পক্ষকে প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র ঝাছাই বাছাই করে সিন্দান্ত নেওয়া আগ পয়ন্ত সবাইকে শান্ত থাকার জন্য বলি।
রহমান জানান, সুমি বেগম আরো জমি বিক্রির কথা বলে বিভিন্ন সময়ে স্বাক্ষর দিয়ে ৪৩ লাখ টাকা নেয়। এরই মধ্যে বছর পার হয়ে যায়। এখন টাকাও দেয় না জমিও দেয় না। তাই নিরুপায় গয়ে দোকান ঘর দখল নেওয়ার চেষ্টা করি।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জনান, এমন একটি অভিযোগ শুনেছি। তবে কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান তিনি।