ফরিদপুর বোয়ালমারী উপজেলায় তীব্র দাবদাহে আক্রান্ত হয়ে ১৫ থেকে ১৭ শত বাড়ন্ত সোনালী মুরগি মারা যাওয়ায় প্রায় ৬ থেকে ৭ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। স্বপ্ন ভঙ্গে নিঃশেষর পথে তরুন উদ্যোক্তা।
ফরিদপুর বোয়ালমারী উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের নাগাদি গ্রামের বাসিন্দা উচ্চ শিক্ষিত তরুণ উদ্যোক্তা মীর রমজান ইসলাম ২০২১ সাল থেকে ১শত মুরগী নিয়ে প্রাথমিক পর্যায়ে সীমিত আকারে খামার ব্যবসা শুরু করে ব্যবসার লাভ ও ঋণ নিয়ে বছর বছর পরিধি বাড়িয়ে ৪ হাজার সোনালী মুরগির খামার করে আসছিলো।
খামারির তথ্য মতে জানা যায় গত (৩ মে)২০২৪ ইং তারিখে তীব্র গরমে তিন দিন ধরে ১৬ থেকে ১৭ শত মুরগী মারা যায়।অবশিষ্ট মুরগী গুলো বাঁচবে কি না একমাত্র সৃষ্টিকর্তা জানেন।
আর এতে তরুণ উদ্যোক্তা ‘স্মার্ট ফার্ম চিকেন
পোল্ট্রি ফার্ম’ প্রো. মো.মীর রমজান ইসলামের প্রায় ৬ থেকে ৭ লাখ টাকার আর্থিক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। মৃত মুরগিগুলো মাটি চাপা দেওয়ার হয়।
পরবাসীর কষ্টের জীবন শেষ করে দেশে এসে অনলাইনে প্রশিক্ষন নিয়ে স্বাবলম্বী হওয়ার আশায় খামার গড়ে তুলে খামারের লাভের অর্থ ও স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন এনজিও থেকে ৫-৬ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে দিনে দিনে ব্যবসার পরিধি বাড়ালেও খামারের এ ব্যাপক ক্ষতি সাধনে পুঁজি হারিয়ে আজ পথে বসেছে এই তরুণ উদ্যোক্তা।
ক্ষতিগ্রস্থ তরুণ উদ্যেক্তা ‘স্মার্ট ফার্ম চিকেন
পোল্ট্রি ফার্ম’ প্রো. মো.মীর রমজান ইসলাম বলেন, কর্মচারীর বেতন, পরিবারের আটজন সদস্য আমার একার উপর নির্ভরশীল,লোনের চাপ,‘সব কিছু হারিয়ে এখন আমি নিঃস্ব ও চরম অসহায়াত্বের মধ্যে সময় পার করে আসছি।
আমি আপনাদের মারফৎ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে আকুল আবেদন জানায় আমাদের মত যারা অসহায় দরিদ্র পরিবারের ছেলেরা সল্প পুঁজি নিয়ে ঋণগ্রস্ত হয়ে নিজেদের উদ্যােগে কর্ম জীবন শুরু করি।তবে ভাগ্যের চরম নির্মম পরিচিতিতে পড়ে সব কিছু হারিয়ে নিঃশেষ হওয়া উদ্যোক্তাদের পাশে থেকে একটু সহযোগিতা সহ আর্থিক সহায়তার দাবি জানায়।