সাভার বিরুলিয়া রোড জুড়ে যানজট। বৈধ, অবৈধ রিকশার রাজত্ব চলছে পুরো বিরুলিয়া রোড। এছাড়া শহরে প্রবেশ নিষেধ ইজিবাইক, ব্যাটারি চালিত রিকশা এলাকায় তাণ্ডব চালাচ্ছে। কিন্তু, এসব নিয়ে প্রশাসন কিংবা জনপ্রতিনিধিদের কোন মাথা ব্যথা নেই। ফলে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে সাধারণ পথচারীরা। এলাকাকে যানজট মুক্ত করতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
সূত্রমতে,প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সাভার অন্ধ মার্কেট থেকে রাজাশন আসতে সময় লাগে ৩৫ মিনিট কিংবা তারও বেশী। যানজট না থাকলে ১৫ মিনিটের মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছানোর সুযোগ থাকলেও যানজটের কারণে অনেক সময় অতিবাহিত করতে হয় রাস্তায়।
এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, পুরো এলাকায়জুড়ে বৈধ রিকশার পাশাপাশি অবৈধ রিকশার দাপট। সাভারের চলাচল নিষিদ্ধ ইজিবাইক, ব্যাটারি চালিত রিকশা পুরো সড়ক দখল করে নিয়েছে। এসব অবৈধ যান বাহনের কারণে সাভারের যানজটের সৃষ্টি হলেও প্রশাসনের তরফ থেকে এ নিয়ে কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যাচ্ছে না। সড়কের যানজট নিরসনে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করার কথা থাকলেও তারা পুরোপুরি দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হচ্ছে। অবৈধ ইজিবাইক, ব্যাটারি চালিত রিকশার সঙ্গে পেরে উঠতে হিমসিম খাচ্ছে ট্রাফিক পুলিশ।
ভুক্তভোগীদের মতে, যানজট মুক্ত রাখতে হলে সাভারের ইজিবাইক, মিশুক ও ব্যাটারি চালিত অটো রিকশা প্রবেশ বন্ধ করতে হবে। অন্যথায় যানজটের কারণে এ শহর অচল হয়ে যাবে। সরেজমিন বিরুলিয়া রোড দেখা গেছে ইজিবাইক,ব্যাটারি রিকশা জটলা। অন্ধ ম মার্কেটের সামনে এসব অবৈধ যান দাঁড় করে রেখে যাত্রী ওঠা নামা করছে। যাত্রীদের জন্য অপেক্ষ তরতে দেখা গেছে অনেককে। শুরু এখানেই নয়, সাভারের বিভিন্ন এলাকাগুলো এখন অঘোষিত অবৈধ যানবাহনের স্ট্যান্ডে পরিণত হয়েছে।
সচেতন মহলের মতে, অবৈধ এসব যান চলাচলের বিরুদ্ধে ট্রাফিক বিভাগ যদি এখনি কঠোর না হয়, তা হলে এ শহরে চলাচল করা মুশকিল হয়ে দাঁড়াবে। এ ব্যাপারে ট্রাফিক বিভাগসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের হস্তক্ষেপ দাবি করেছে সাভারবাসী।
এ বিষয়ে ঢাকা জেলা উত্তর ট্টাফিক পুলিশের (টিআই) এডমিন মোঃ শহীদ হোসেন চৌধুরী বলেন ,ফুটপাতের জন্য আমাদের অভিযান চলে। গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য অভিযান চলছে। চেকপোস্ট দেয়া হচ্ছে।মামলা হচ্ছে। আজকে সকালেও অন্ধমার্কেটের ঐদিকে অভিযান করা হয়েছে। আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। আগামী দিনেও থাকবে।