ফরিদপুরে আলোড়ন সৃষ্টিকারী সড়ক দুর্ঘটনায়
বাস-পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১৫ জন যাত্রী হত্যাকরী বাস চালকে আটক করেছে র্যাব ১০ ক্যম্প ফরিদপুর।
গতকাল (২১ এপ্রিল) ২৪ ইং তারিখ দুপুর ১২:৩০ মিনিটে ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুর এলাকায় একটি অভিযান চালিয়ে ক্লুলেস পলাতক উত্তরা ইউনিক পরিবহন বাসের ঘাতক চালককে গ্রেফতার করেন।
আটককৃত গাড়ি চালক ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুর থানার বাজে বামনদাহ গ্রামের মোঃ দেলোয়ার হোসেনের পুত্র মোঃ খোকন মিয়া (৫৮)।প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামি উক্ত উত্তরা ইউনিক পরিবহনের চালক বলে স্বীকার করেছে।
এই সংক্রান্তে আজ সোমবার বেলা ১১টায় র্যাব-১০,ক্যম্প অধিনায়ক লেঃ কমান্ডার কে এম শাইখ আকতার প্রেস কনফারেন্সের মাধ্যমে জানান,
গত (১৬ এপ্রিল)২৪ ইং তারিখ সকালে একটি পিকআপযোগে নারী ও শিশুসহ ১৬ জন যাত্রী সহ ফরিদপুর জেলার কোতয়ালী থানার কানাইপুর দিক নগর এলাকায় ফরিদপুর- মাগুড়াগামী একটি উত্তরা ইউনিক পরিবহন বাস দ্রুত ও বেপরোয়া গতীতে চালিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রীবাহী পিকআপটিকে চাপা দেয়।
এই ঘটনায় পিকআপে থাকা ১১ জন যাত্রী ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন। আহতদের ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি কর হলে পরবর্তীতে আরো ৪ জন চিবিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।এই ঘটনার পর পর অজ্ঞাতনামা বাস চালক আত্মগোপনে চলে যায়।
উক্ত ঘটনায় নিহত ইকবালের বড় ভাই ইমামুল শেখ (২৮) বাদী হয়ে চালকের বিরুদ্ধে ফরিদপুর জেলার কোতয়ালী থানায় সড়ক পরিবহন আইনে দ্রুত ও বেপরোয়া গতিতে বাস চালিয়ে দূর্ঘটনা ঘটিয়ে প্রাণহানি ঘটানোর অপরাধে একটি মামলা দায়ের করেন।
ইতোমধ্যে মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনাটি সারাদেশে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনা সংঘটনকারী বাস চালকের পরিচয় সনাক্ত এবং উক্ত চালককে গ্রেফতার করতে র্যাব-১০, সিপিসি-৩ ফরিদপুর ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি ও ছায়া তদন্ত শুরু করে। ছায়া তদন্তের এক পর্যায়ে র্যাব-১০, ফরিদপুর ক্যাম্পের আভিযানিক দল ঘাতক উত্তরা ইউনিক পরিবহনের চালকের পরিচয় সনাক্ত করতে সক্ষম হয়। এবং ঘাতক চালকে আটক করেন।