দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে ঘরে ঢুকে গৃহবধূ ও তার ৫ বছরের কন্যা শিশুকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামী শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে। পুলিশ এ ঘটনায় নিহতের স্বামীকে আটক করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, পারিবারিক কলহের জেরে নিহতের স্বামী শহিদুল স্ত্রী ও সন্তানদের অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে।
রোববার (২১ এপ্রিল) সকাল ৯টায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পাঁচ বছর বয়সী মেয়ে আফরিন আক্তার মারা যান। একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে ১২ বছর বয়সী ছেলে আলামিন। নিহত গৃহবধূ হলেন মর্জিনা বেগম (৩০)।
এর আগে শনিবার (২০ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের হেয়াতপুর চিনিরচড়া গ্রামে বাসায় এই ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সন্ধ্যায় স্বামী স্থানীয় বাজারে যাওয়ার পর অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা বাড়িতে প্রবেশ করে গৃহবধূ ও তার দুই শিশু সন্তানকে আঘাত করে পালিয়ে যায়। এ সময় তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা এসে গৃহবধূকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায়। পরে আহত দুই শিশুকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় রাতে স্বামী শহিদুল ইসলামকে পুলিশ আটক করে।
দিনাজপুর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ মোঃ জিন্না আল মামুন জানান, পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী শহিদুল ইসলাম নিজের স্ত্রী ও সন্তানদের ওপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। পরবর্তীতে বিস্তারিত জানানো হবে।