চাঁদপুর মতলব উত্তর উপজেলার, সাদুল্লাপুর ইউনিয়নের, উত্তর মুক্তিরকান্দি গ্রামের,আবুল শিকদার এর ছেলে,মোঃ আশার মনি ও মোঃ আবু কালাম, সহ আরো ১০-১৫ জন, মিলে ওতর্কিত হামলা চালান মোঃ কফিল উদ্দিন এর ছেলে মোঃ আলী মিয়া উপর। ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়, সাদুল্লাপুর ইউনিয়নের ৩৪ নং উত্তর মুক্তিরকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি,মোঃ আশার মনি, দীর্ঘদিন যাবত দপ্তরি চাকরির পাশাপাশি স্কুলের সামনে একটি দোকান চালিয়ে আসছেন, দোকানের মালামাল স্কুলের শ্রেনী কক্ষে রাখায় বাধা প্রদান করেন, মোহাম্মদ আলী মিয়া ও তার ছেলে মানিক। তারই সূত্র ধরে, এই হামলার শিকার হন, মোহাম্মদ আলী মিয়া ও তার ছেলে সোলেমান মানিক।
এ বিষয়ে মতলব উত্তর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন,(মোঃ আলী মিয়া)
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আহত সোলাইমান মানিক এর বাবা মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, বিবাদীরা আমাদের একই গ্রামের পাড়া প্রতিবেশি। মোহাম্মদ আশার মনি অত্যান্ত,দুষ্ট, দুচ্চরিত্রের , পর অনিস্টকারী এবং ভয়ংকর সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। আশার মনি,সহ আরো কয়েকজন লোক সাথে নিয়ে ,দীর্ঘদিন যাবত অত্র এলাকায় দাঙ্গা হাঙ্গামা সহ অসামাজিক কার্যকলাপ করিয়া আসিতেছে। তাহাদের অপকর্মের বিরুদ্ধে কোন,প্রতিবাদ করিলে, আশার মনি সহ তার বাহিনী সাথে নিয়া বিভিন্ন ভয়ভীতি সহ মারধর করিয়া থাকে। আশার মনির অন্যায়,অত্যাচারে স্থানীয় লোকজন খুবই অতিষ্ট। মোহাম্মদ আলী মিয়া আরো বলেন, আমার দুই ছেলে এই অসামাজিক কার্যকলাপে বাধা নিষেধ করাতে,তাদের উপর ক্ষিপ্ত হইয়া সর্বদাই লাঠি সোটা দা, ছেনা দিয়ে মারধর করিতে অপচেষ্টা চালাচ্ছে,তার এক পর্যায় ১৫ তারিখ সোমবার আনুমানিক রাত ১১ ঘটিকার সময়, আমার ছেলে মোহাম্মদ সোলাইমান মানিক, কালিপুর বাজার থেকে বাড়ীতে আসার পথে, দপ্তরি মোঃ আশার মনি সহ ১০/১২ জন সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোকজন নিয়া পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হাতে লাঠি সোটা, লোহার রড, ধারালো লোহার ছেনা ইত্যাদি দেশিয় অস্ত্র সস্ত্রে নিয়ে, মোহাম্মদ মানিক কে, পথরোধ করে।তার পর ধারালো লোহার ছেনাদ্বারা হত্যার উদ্দেশ্যে মাথা লক্ষ করিয়া কোপ দিলে মাটিতে পড়ে যায়, তারপরেও প্রাণে মেরে ফেলার জন্য মাটিতে রেখেই এলোপাথা এভাবে কিল ঘুসি মারতে থাকে,তার কাছে থাকা নগদ ৭,২০০/- (সাত হাজার দুইশত) টাকা সহ ১৬,০০০/-(ষোল হাজার) টাকা মূল্যের ১টিএনড্রয়েট মোবাইল ফোন ছিনাইয়া নিয়া যায়। তারপর পরিবারের উপর হামলা চালায় ও বাড়িঘর ভাঙচুর করেন, মোহাম্মদ আশার মনি ও তার দলবল নিয়ে, তারপর, আহত ব্যক্তিদের,মতলব উত্তর উপজেলা,স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করি। কর্তব্যরত ডাক্তার প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে, অবস্থা আশংকা জনক বিধায়
উন্নতর চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। এ বিষয়ে উত্তর মুক্তিরকান্দি ৩৪ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষিকা ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, আমি দপ্তরি আশার মনি কে কয়েক বার মৌখিক ভাবে মানা করেছি, যে আপনি দোকানের মালামাল স্কুলে রাখবেন না, স্কুল চলাকালীন অবস্থায় ও ডিউটিরত অবস্থায়, দোকানদারি করা যাবেনা, তিনি আমার কথায়,কোন কর্ণপাত করে নাই।
আহত সোলাইমান মানিক বলেন, অএ বিদ্যালয়ের দপ্তরি আশার মনি চাকরীর পাশাপাশি বিদ্যালয়ের সমু্খে একটি মুূদি দোকান করেন, এবং ঐ দোকানের মালামাল বিদ্যালয়ের শ্রেনীক্ষে গোডাউন হিসেবে ব্যাবহার করেন। আমি এই ঘটনা দেখে দপ্তরী আশার মনিকে শ্রেণিকক্ষে মালামাল রাখার কারন জিজ্ঞেস করলে, সে এক পর্যায়ে আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করতে থাকে। এবং বিভিন্ন লোককে ফোন করে এনে আমাকে অতর্কিতভাবে আঘাত করে। এ বিষয়ে মতলব উত্তর থানায়, মোহাম্মদ আলী মিয়া বাদি হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন, মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) মোঃ শহীদ হোসেন জানান, এ বিষয়ে, নিয়মিত মামলা রযু হয়েছে আসামি গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।