কুয়েতের সাথে কুটনীতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি হয়েছে চলতি বছরে।
এই পুর্তিতে ঐতিহাসিক সুখবর পেল বাংলাদেশ। ১৯৭৪ সালের এপ্রিল মাসেই কুয়েতে বাংলাদেশের দূতাবাসের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। দীর্ঘকাল প্রতিক্ষার পর আজ কুয়েতে নিজস্ব ভূমিতে বাংলাদেশের দূতাবাস স্থাপন করার জায়গা পেল।
মুজিবনগর দিবসের এই ঐতিহাসিক দিনে কুয়েত কর্তৃপক্ষ পারস্পরিক বিনিময়ের ভিত্তিতে মিশরেফ ডিপ্লোমেটিক জোনে বাংলাদেশ দূতাবাসের চ্যান্সরী ভবনের জন্য ৩,০০০ বর্গ মিটার এবং বাংলাদেশ হাউজের জন্য ১,০০০ বর্গ মিটার মোট ৪,০০০ বর্গ মিটারের দু’টি প্লট বরাদ্দ পেয়েছে।
কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের মান্যবর রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল (অব:) মোঃ আশিকুজ্জামান, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, জি, প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ হাসান উজ-জামান, কাউন্সিলর ও দূতালয় প্রধান মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান সহ দূতাবাসের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাগন পরিদর্শন করেন। সে সময় কুয়েতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের কাছ থেকে বরাদ্দকৃত প্লট দু’টি বুঝে নেন। পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রেসক্লাব কুয়েত এর সভাপতি মঈন উদ্দিন সরকার সুমন, সাধারণ সম্পাদক আ হ জুবেদ। প্লটটির একদিকে রয়েছে চীন, আরেকদিকে জাতিসংঘ হাউজ, ফিলিস্তিন ও জাপান ।
সে সময় সাংবাদিকদের রাষ্ট্রদূত বলেন কুয়েত প্রবাসীদের জন্য আজকের দিনটি ঐতিহাসিক ও স্মরণীয়
দিন। মান্যবর রাষ্ট্রদূত আশা প্রকাশ করেন বাকি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে কুয়েতে নিজস্ব চ্যান্সরী ভবন এবং বাংলাদেশ হাউজ নির্মাণের কাজ দ্রুত শুরু হবে।