গত কয়েক দিন ধরে প্রচণ্ড গরমে অবস্থায় রাজধানীবাসীর। সবকিছুর অবসান ঘটিয়ে অবশেষে ঝরল প্রশান্তির বৃষ্টি। তবে সঙ্গে তীব্র ঝড়ে কিছুটা বিড়ম্বনাও পোহাতে হচ্ছে ঢাকা সহ নগরবাসীদের।
তবে সতর্ক সংকেতে তীব্র ঝড়ের কবলে পড়েন নৌকায় থাকা যাত্রী ও মাঝিরা।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালেও ছিলো রোদ আলোতে কিন্তু বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গরমের তীব্রতাও বাড়তে থাকে।
তবে দুপুরের পর থেকে আকাশে শুরু হয় মেঘের ঘনঘটা অন্ধকার। বিকেল নাগাদ ঝড়ো বাসাতে ধুলোময় হয়ে ওঠে রাজধানী সহ গ্রামে গঞ্জে। পরক্ষণে শুরু হয় বর্ষণ।
এদিকে বৃষ্টিতে গরম কমে গেলেও ঝড়ে অনেকেই ভোগান্তিতে পড়েছেন।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে দৈনিক বাংলার অধিকারের এক তথ্য জানা যায় , বৃষ্টি শুরু হওয়ার পর বাতাস হলে সমস্যা হতো না। কিন্তু বৃষ্টি শুরু হওয়ার প্রায় আধাঘণ্টা আগে থেকেই বাতাসে ধুলোবালি উড়াতে থাকে শহরের বিভিন্ন এলাকায় । এতে ঘর-বাড়ি দোকান-পাট ধুলো ময়লায় ছেয়ে যায়। সমস্যায় পড়তে হয় শিশু সহ পথচারীদেরও। তবে বৃষ্টি শুরু হওয়ার পর ধুলোর সমস্যা মিটে যায
বৃষ্টির কারণে কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন কিছু ফুটপাত ব্যবসাযী,পথচারী এবং রিকশার চালকরা। বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন এলাকায় ফুটপাতের বিক্রেতাদের দোকান গুটিয়ে নিতে দেখা যায অন্যদিকে কিছু কিছু জায়গায় গাছের ডালপালা ভাঙার খবর পাওয়া গেছে।
রাজধানীর সদরঘাটে ঝড়-বৃষ্টি শুরু হওয়ার সময়ে অনেক খেয়া নৌকা বুড়িগঙ্গা নদীর মাঝখানে ছিলো। বাতাসের গতি তীব্র হওয়ায় তাদের কিছুটা বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।
বৈশাখের শুরুতেই তাপপ্রবাহে পড়ে রাজধানীবাসী। দেশের ৫৪ জেলায় বয়ে যাচ্ছে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ।
তবে নদী ও সমুদ্রপথে লঞ্চ জাহাজ স্টিমার নৌকাকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান আবহাওয়া অধিদপ্তর।