কুড়িগ্রামে নিরাপদ ঈদ আনন্দ নিশ্চিত ও ঈদের দিনে বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালানোর দায়ে ৪২টি মোটরসাইকেলকে মামলা দিয়েছে পুলিশ। এছাড়াও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় ৪টি মোটরসাইকেল আটক করা হয়েছে। অপর দিকে উশৃংখল ও দলবদ্ধ ভাবে পিকআপ ভ্যানে উচ্চস্বরে সাউন্ড সিস্টেম বাজিয়ে ঘোরাফেরার সময় ৮টি পিকআপ ভ্যান ও ৭টি ব্যাটারি চালিত অটোরিকশাকে আটক এবং গণউপদ্রবের দায়ে ২৪টি সাউন্ড বক্স জব্দ করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন এলাকায় এ কার্যক্রম চালায় পুলিশ।
অন্যদিকে জেলার রাজিবপুর, রাজারহাট, উলিপুর, নাগেশ্বরী ও ফুলবাড়ি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় জুয়ার সামগ্রী জব্দ করে পুলিশ। পুলিশ জানায়, পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উদযাপন উপলক্ষ্যে এখানকার সকল শ্রেণীপেশার মানুষ যাতে নিরাপদে পরিবারসহ বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণ করতে পারে সেই লক্ষ্যে কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ বিশেষ ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা গ্রহন করে।
জেলার কোথাও কোন বিনোদন স্পষ্ট না, থাকায় প্রতিবছরই কোন না কোন উৎসবে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় জমে কুড়িগ্রামের একমাত্র ধরলা ব্রিজসহ আশেপাশের নদী রক্ষা বাঁধে। এদিন করে তীব্র যানজটের শিকার হয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয় এ সড়কে চলাচলকারী বিভিন্ন যানবাহনসহ সাধারণ মানুষকে। তবে এবার ঈদুল ফিতর উপলক্ষে যানজট নিরসনে ধরলা ব্রিজে চালু করা হয় ওয়ানওয়ে ও সচেতনতা মূলক মাইকিং। ফলে তীব্র যানজট থেকে মুক্তি পায় দর্শনার্থীরা।
জনি শেখ নামে একজন তার ফেসবুকে লিখেছেন, “কয়েক বছর পরে ঈদের দিন ধরলা ব্রীজে যানজট মুক্ত দেখলাম, ধন্যবাদ কুড়িগ্রাম জেলা ট্রাফিক পুলিশ।
কুড়িগ্রাম সদরের রফিকুল ইসলাম নামের একজন বলেন, ধরলা ব্রীজের ওপরে নির্ধারিত লেন তৈরি করায় আমরা আমাদের পরিবারসহ নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারছি।
কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) রুহুল আমিন বলেন, জেলার বিভিন্ন নাগরিক, অভিভাবক ও সুধীসমাজের মতামত ও অভিযোগের ভিত্তিতে ঈদুল ফিতরের সারাদিন পুলিশ অব্যাহত ভাবে কাজ করেছে। যাতে নাগরিকরা সুশৃঙ্খলভাবে ঈদ আনন্দ উদযাপন করতে পারে, যাতে কেউ দুর্ঘটনার শিকার না হয়।