নবীনগর উপজেলার ইব্রাহিমপুর মৌজার ইব্রাহিমপুর এতিম খানা দরবার শরিফের পশ্চিম পাশে খালার জমি নিজের বলে দাবী করে আসছেন ইয়াছমিন আক্তার, এ নিয়ে স্হানীয় সাহেব সরদাররা কয়েক দফা শালিসি সভায় দুই পক্ষ কে জায়গার কাগজ পত্র দেখাতে বললে জমি ক্রয় কারি মোঃ বাবুল মিয়া তার জমির কাগজপত্র দেখাতে পারলে ও দেখাতে পারেন নি কোন কাগজ ইয়াছমিন আক্তার,
এর পর ইয়াছমিন কোর্টে কয়েকটি মামলা দিলে সেখানে সঠিক কাগজপত্র দেখাতে না পারায় মামলা গুলোর রায় মোঃ বাবুল মিয়ার পক্ষে চলে যায়,,
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ইয়াছমিন আক্তার তার দলবল নিয়ে গত ২৭ মার্চ হামলা চালায় মোঃ বাবুল মিয়ার বাড়িতে এ সময় বাবুল মিয়ার ভাতিজা সাকির চাচা কে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে
ইয়াছমিন আক্তার এর স্বামী দেবর ও ছেলে মিলে হত্যার উদ্দেশ্য এ দা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায়,
এ নিয়ে নবীনগর থানায় একটি অভিযোগ করেন বাবুল মিয়া ,
ও আহত সাকির কে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়ার সময় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ গিয়ে আবারও আক্রমণ করার চেষ্টা করলে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ইয়াছমিন ও তার ভাই বিল্লাল কে আটক করে থানায় নিয়ে আসে এবং পরের দিন কোর্টে প্রেরণ করেন।
পরে কোর্টে তার কোলে বাচ্চা আছে তাকে যেন জামিন দেওয়া হয় মিথ্যা তথ্য দিয়ে জামিনে বের হয়ে আসে,
বের হয়ে এসেই
মোঃ বাবুল মিয়া কে হুমকি ধমকি দিয়ে আবারও দলবল নিয়ে হামলা চালায় পরে বাবুল মিয়া ৯৯৯ এ ফোন দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে আবার পৌঁছালে এরা পালিয়ে যায়,
এলাকার লোকজনের সাথে কথা বললে উনারা জানান ইয়াছমিন আক্তার বাড়িতে এসে বলেন সে নাকি ঢাকায় বাসা বাড়িতে কাজ করে এলাকাবাসির সন্দেহ সে বাসা বাড়িতে কাজ করলে মাসে মাসে লাখ টাকার উপর কিভাবে উপার্জন করছে বাসা বাড়িতে কাজ করে কি লাখের উপর বেতন পাওয়া যায় ঢাকায় আলিসান বাসা বাড়া রেখে কিভাবে থাকেন আমাদের মাথায় ধরে না,
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকার লোকজন জানান ইয়াছমিন আক্তার বড় ধরনের একটা অপরাধী গ্যাং এর সাথে জড়িত আছে, মূলত বিভিন্ন বাসা বাড়িতে কাজ করা তা একটা নাটক সে কাজের উছিলায় ঐ বাড়ির সমস্ত খোঁজ খবর কোন অপরাধী গ্যাং কে দেন,,
উনারা আর ও বলেন গেলো কয়েক দিন আগে অপহরণ মামলায় ডিবি কৃত গ্রেফতার হওয়া লাভলীর সহচর হিসেবে এলাকায় পরিচিত এই ইয়াছমিন আক্তার অনেকের দাবী ঢাকায় ইয়াছমিনের বাড়া বাড়িতে নিয়মিত যাতায়াত ছিলো অপরাধীদের।
এ বিষয় এ মোঃ বাবুল মিয়া জানান সে আদালতে তার কোলে বাচ্চা আছে বলে মিথ্যে তথ্য দিয়ে জামিনে বের হয়ে আসে আমাকে হুমকি ধমকি দিচ্ছে তার কোলে কোন বাচ্চা শিশু ই নাই বাচ্চা টি তার দেবরের সে মামলাবাজ একটা মহিলা, তার খালাতো বোনের কাছ থেকে আমি কাগজপত্র দেখে জমি ক্রয় করি পরে সে আমার জমি তার নিজের দাবী করে বলে ছেড়ে দিবো যদি আমাকে চার লাখ টাকা দেন,,
আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল আমি আগে ও বলেছি এখনও বলছি যদি সে জমির সঠিক কাগজপত্র দেখাতে পারে আমি জমি ছেড়ে দিবো আর সংবাদ সম্মেলনে তার বাড়ি ঘর ভেঙে ফেলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তা মিথ্যে কারণ এখানে সবাই যার যার জায়গায় বসবাস করছি আর আপনারা এলাকায় খোঁজ নিলে জানতে পারবেন তাদের বিষয় এ।
এ বি জানতে চাইলে ইয়াছমিনআক্তার কে ফোন দিলে তার মোবাইলে ফোন যায় নি পরে তার দেবর করিম কে ফোন দিলে তিনি ও ফোন রিসিভ করেন নি।