গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার নাগরি ইউনিয়নের বড় দাহিন্দি গ্রামে রাস্তার উপর মসজিদের সীমানা প্রাচিরের পিলার নির্মাণকে কেন্দ্র করে মসজিদ কমিটির সভাপতি ও তার সাঙ্গ-পাঙ্গদের হামলায় নারী শিক্ষার্থীসহ ৭ জন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গুরুতর আহত জুয়েল পারভেজ ওরফে সাইফুল (৫৮)সহ বাতেন মিয়া, হাবিবুর রহমান ও হামিদ মিয়া ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। বাকিরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নেন।
জানাযায়- বড় দাহিন্দি গ্রামের বড় দাহিন্দি জামে মসজিদের দক্ষিণ পাশের্^র রাস্তা ঘেষে মসজিদ কমিটির সভাপতি মোঃ নুরুল ইসলাম সম্প্রতি শুক্রবার মসজিদের সীমানা প্রাচীর নির্মাণের পিলার স্থাপন করতে যায়। ওই সময় এলাকাবাসি রাস্তা ছেড়ে পিলার নির্মাণের অনুরোধ করলে সভাপতি নরুল ইসলাম তাতে রাজি হননি। ওই সময় স্থানীয় সাইফুল ইসলাম ও আব্দুল বাতেনসহ রাস্তা ব্যবহারকারি লোকজনকে নুরু হুমকী-ধামকী দিয়ে বল পূর্বক পিলার নির্মাণের অপচেষ্টা করে। রাস্তা ব্যবহারকারীরা নুরুল ইসলামের কর্মকান্ডের তীব্র প্রতিবাদ জানালে নুরুল ইসলামের হুকুমে নাইম উল্লাহ, অহিদ উল্লাহ, শহিদ মিয়া, আশাফুল মিয়া, শাকিব মিয়া, দীন ইসলাম ও রিমন রাজ মিস্ত্রীদের ব্যবহৃত কাওয়াল, লোহার রড, সাবল, দা-ছেন ও চাপাতি ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে তাদের উপর সশস্ত্র হামলা চালায়। হামলায় জুয়েল পারভেজ ওরফে সাইফুল ইসলাম, বাতেন মিয়া, হামিদ মিয়া, হাবিবুর রহমান, আল-আমিন, নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী আসফি আক্তার, টঙ্গী সরকারি কলেজের অনার্স ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী মীম আক্তার, কাঁচকুড়া বিশ^বিদ্যালয় কলেজের শিক্ষার্থী আমরিন আহত হয়। আহতদের মধ্যে সাইফুল, বাতেন মিয়া, হামিদ মিয়া ও হাবিবুর রহমান ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নেন।
এলাকাবাসী জানান- ঘটনার দিন মসজিদ কমিটির সভাপতি নুরুল ইসলাম আগ্রাসী হয়ে উঠেন। তিনি তার লোকজনকে লেলিয়ে দিয়ে রাস্তা ব্যবহারকারিদের উপর হামলা পরিচালনা করেন। আহতদের ডাক চিৎকারে লোকজন এগিয়ে এসে তাদেরকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় হাসপাতালে নেয়। পরে সেখানথেকে আহত ৪ জনকে ঢামেকে রেফার্ড করা হয়।
এ ঘটনায় আহত সাইফুলের ছেলে রায়হান আহমদ বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় সোমবার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। বাদী জানান- মসজিদ কমিটির সভাপতি নুরুল ইসলামের সাথে দীর্ঘ দিন যাবৎ জমি সংক্রান্ত বিরোধ থাকায় মসজিদের সীমানা প্রাচির নির্মাণের পিলার রাস্তায় নির্মাণ করার চেষ্টা চালাচ্ছে। যাতে আমরা মসজিদ সংলগ্ন রাস্তাটি ব্যবহার করতে না পারি। তিনি আরো বলেন- এলাকার ২শতাধিক লোক এই রাস্তাটি ব্যবহার করেন।
মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক বাতেন মুঠো ফোনে এ প্রতিবেদককে বলেন- আমরা চেষ্টা করেছি পিলারটি রাস্তায় না করার জন্য। কিন্তু সভাপতি নুরুল ইসলামের প্রভাবের কারণে পেরে উঠছিনা।
অপরদিকে মসজিদ কমিটির সভাপতি নুরুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন- রাস্তায় কোন পিলার নির্মাণ হয়নি। রাস্তার জায়গা রেখে বাউন্ডারি পিলার নির্মাণ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সেখানে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষের লোকজন আমাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিলে আমি আহত হই। পরে আমার ভাই-ভাতিজা তাদের উপর চড়াও হয়।