আগামী ৩১ মার্চ বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশন (বাজুস) লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন। নির্বাচনকে ঘিরে প্রার্থীরা ব্যস্ত রয়েছে প্রচারনায়। ১৯ পদে প্রার্থী হয়েছে ৩৯ জন। রয়েছে অঘোষিত দুইটি প্যানেল। প্যানেলের বাহিরেও নির্বাচন করছে অনেকে। বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির বিরুদ্বে অর্থ লোপাটের অভিযোগ এনে প্রচারনা চালাচ্ছে একটি প্যানেল। তবে এইসব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবী বর্তমান কমিটির।
এবারই প্রথম উৎসব মূখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে বাজুসের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এর আগে লক্ষ্মীপুর স্বর্ণ রোপ্য ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি নামে একটি সংগঠন ছিল। প্রায় দুই বছর আগে জেলা বাজুসের একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। বর্তমানে বাজুসের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশ অনুযায়ী এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে লক্ষ্মীপুর জেলার শাখার সাংগঠনিক কার্যক্রমের আত্মপ্রকাশ ঘটতে যাচ্ছে। এই সংগঠনটির নির্বাচনের ধরন একটু ভিন্ন। প্রাথমিক ভাবে ৩১ মার্চ নির্বাচনে ১৫০ জন ভোটার ১৯ জন সদস্য নির্বাচিত করবে। পরবর্তীতে নির্বাচিত এই ১৯ জন সদস্য থেকে ১২ সদস্য বিশিষ্ঠ্য কার্যকরী কমিটি গঠন করা হবে। তবে জেলা ব্যাপী প্রায় ৭০০ বেশী স্বর্ন ব্যবসায়ী থাকলেও মাত্র ১৫০ জন ভোটার হওয়া নিয়ে কানাঘুষা রয়েছে। তবে বাজুসের সূত্রে জানা যায়, কাগজপত্রসহ কেন্দ্রীয় কমিটিতে ৫২০ জন ব্যবসায়ীর তালিকা পাঠানো হয়। এখান থেকে কেন্দ্রীয় কমিটি কাগজপত্র যাছাই বাছাই করে ১৫০ জনের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে।
অঘোষিত দুইটি প্যানেলের মধ্য রয়েছে বর্তমান কমিটির হরিহর পাল ও প্রদীপ কুরী প্যানেল। আরেকটি সমির কর্মকার ও পরেশ কর্মকার প্যানেল। প্যানেলের বাহিরেও অনেকে সদস্য নির্বাচিত হওয়ার জন্য নির্বাচন করছে। বর্তমান কমিটির বিরুদ্বে অর্থ আত্মস্বাৎ এর অভিযোগ এনে নির্বাচনী ইসতেহার ঘোষনা করে প্রচারনা চালাচ্ছে প্রতিদ্বন্দ্বি প্যানেলের সমির কর্মকার ও পরেশ কর্মকার। তবে এইসব অভিযোগ অস্বিকার করে অন্য প্যানেলের হরিহর পাল ও প্রদীপ কুরী জানান, বাজুসের কার্যক্রম শুরু হয়েছে দুই বছর হয়েছে। বাজুসের ফান্ডে এত টাকা কোথা থেক এল। ফান্ড আছে স্বর্ন ও রৌপ্য সমবায় সমিতির নামে। বাজুস একটা সংগঠন। আর স্বর্ন রৌপ্য সমিতি আরেকটা সংগঠন। স্বর্ন ও রৌপ্য সমিতির প্রতি সদস্য জমা দিয়েছে ২৮ হাজার টাকা করে। ইতিমধ্যে লভ্যাংশসহ প্রতি সদস্যকে ৪৪ হাজার টাকা করে ফেরত দেওয়া হয়েছে। এরেরও কিছু টাকা সমিতির ফান্ডে জমা আছে। অথচ বাজুসের নামে কোটি কোটি টাকার কথা বলে এরা অপপ্রচার চালাচ্ছে।
নির্বাচন কমিশনার সমবায় কর্মকর্তা জানান, সুষ্ঠ নির্বাচন গ্রহনের লক্ষ্যে সকল ধরনের ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। কোন প্রার্থী নির্বাচনী আচরনবিধি লংঘন করলে তার বিরুদ্বে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।