দুবাই বাংলাদেশ কনসুলেট জেনারেল কর্তৃক যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস আজ ২৬ মার্চ উদযাপন করা হয়।
দুবাই বাংলাদেশ কনসুলেট জেনারেল কর্তৃক যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস আজ ২৬ মার্চ উদযাপন করা হয়।
মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, দুবাই প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়।
এরপর বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল প্রাঙ্গণে কনসাল জেনারেল জনাব বি এম জামাল হোসেন-এর নেতৃত্বে কনস্যুলেটের কর্মকর্তা ও কর্মচারী, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, জনতা ব্যাংক-এর কর্মকর্তা ও কর্মচারী, সকল বেসরকারী সংগঠনের সদস্যবৃন্দ এবং প্রবাসী বাংলাদেশীদের উপস্থিতিতে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
পরবর্তীতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত-এর মধ্য দিয়ে আলোচনা সভা শুরু হয়। সভার শুরুতে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণীসমূহ পাঠ করা হয়। এরপর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং সাম্প্রতিক উন্নয়ন গতিধারাকে ভিত্তি করে নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। অতঃপর মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-এর উপর দুবাই ও উত্তর আমিরাতে বসবাসরত সকল সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, পেশাজীবী, সাধারণ শ্রমিক ও বিভিন্ন স্তরের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিবৃন্দ, জনতা ব্যাংক, বিমান বাংলাদেশ এবং কনস্যুলেটের কর্মকর্তাগণ আলোচনায় অংশ নেন।
সভায় উপস্থিত সকলে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে সরকারের বিভিন্ন কর্মকান্ডে সহযোগিতার হাত প্রসারিত করাসহ শান্তিময়, সুখী ও সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের “সোনার বাংলা” গড়ার লক্ষ্যে সকলকে দলমত নির্বিশেষে কাজ করার আহ্বান জানান।
সমাপনী বক্তব্যে মান্যবর কনসাল জেনারেল জনাব বি এম জামাল হোসেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তাঁর পরিবারের শাহাদাতবরনকারী সদস্যদের, সকল শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং আত্মত্যাগী দুই লক্ষ মা-বোনের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের পাশাপাশি বিদেশী নাগরিক যাঁরা সেসময় বাংলাদেশের সাহায্যে এগিয়ে এসেছিলেন তাঁদেরকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।
তিনি মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে স্বাধীনতার সুফল জনগণের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিতে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করার এবং জাতির জনকের ‘‘সোনার বাংলা” রূপায়নসহ বিদেশের মাটিতে দেশের ভাবমূর্তি সমুন্নত রাখার আহবান জানান।
তিনি “ভিশন ২০৪১” বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দলমত নির্বিশেষে সকলকে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানান। সবশেষে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।