জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা,ছয় দফা দাবি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা
অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় রবিবার (১৭ই মার্চ) রাত ৮ থেকেই উত্তাল গোটা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে সুষ্ঠু বিচার দাবি করার লক্ষে এই বিক্ষোভ করছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
অভিযুক্ত দ্বীন ইসলাম ও আম্মান কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে প্রশাসন, ছয় দফা দাবি জানিয়ে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা দাবি পূরণ না হলে আগামী সোমবার (১৮ মার্চ) সকালে উপাচার্যের কার্যালয় ঘেরাও করবে, আল্টিমেটামের আগেই ফাইরুজ অবন্তিকার পরিকল্পিত মার্ডার করায় দ্বীন ইসলাম ও আম্মান কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ, আজ রবিবার রাত ৮ টার সময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবী অবন্তিকার হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত করতে হবে দ্বীন ইসলাম ও আম্মান এর প্যানেলে যাঁরা যাঁরা জরিতো রয়েছে তাদেরকে অবিলম্বে গ্রেফতার ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করতে হবে এবং অবন্তিকার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে,
শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও আইন বিভাগের শিক্ষার্থী রায়হান সিদ্দিকী আম্মানকে দায়ী করে ফেসবুকে পোস্ট দেন ফাইরুজ অবন্তিকা। এরপর ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। এ ঘটনায় উত্তাল হয়ে ওঠে পুরো বিশ্ববিদ্যালয়। পরে উপাচার্য সাদেকা হালিম এসে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন, এদিকে অবন্তিকার আত্মহত্যাকে পরিকল্পিত হত্যা দাবি করে দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছিলেন তার মা ও স্বজনরা। একমাত্র মেয়েকে হারিয়ে শোকে স্তব্ধ পুরো পরিবার। স্বজনরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে ক্লাসমেট আম্মান সিদ্দিকী আর সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম মিলে অবন্তিকাকে অনলাইন এবং সরাসরি হুমকি দিয়ে আসছিলেন। এ নিয়ে একাধিকবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানালেও কোনো সমাধান পাওয়া যায়নি। তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হয়েছিলো। একে হত্যা দাবি করে জড়িতদের বিচার দাবি করেন তাদের। ফাইরুজ অবন্তিকা কুমিল্লা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যাপক প্রয়াত জামাল উদ্দিনের মেয়ে।