অষ্টাদশ শতকের ঐতিহ্যবাহী ভগ্নদশা জমিদার বাড়ী আজও কালের সাক্ষী হয়ে দাড়িয়ে আছে। দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার উত্তরে ১২ কিলোমিটার দুরে খানপুর ইউনিয়নের রতনপুরে এ জমিদার বাড়ীর অবস্থান।
জানা গেছে, বৃটিশরা অষ্টাদশ শতকে দিনাজপুরের ফুলবাড়ির জমিদারের খাজনা আদায়কারী হিসাবে রাজকুমার সরকারকে বিরামপুরের রতনপুর কাচারীতে প্রেরণ করা হয়। এখান থেকে তিনি বিরামপুর, নবাবগঞ্জ, হাকিমপুর ও ফুলবাড়ী এলাকার প্রজাদের নিকট থেকে নৈপুণ্য ও যোগ্যতার সাথে খাজনা আদায় করতেন।
আদায়কারী কর্মদক্ষতায় সন্তুষ্ট হয়ে জমিদার তার বোনের সাথে রাজকুমারের বিয়ে দেয় এবং সাড়ে ৬শ বিঘা জমিসহ রতনপুর কাচারী উপহার দেন। সাধারণ আদায়কারী থেকে জমিদার হয়ে রাজকুমার আরো অধিক অর্থসম্পদের নেশায় মেতে ওঠেন। কিছুদিন আগে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় উক্ত জমিদার বাড়ির বেশ কিছু জায়গা বে দখল হওয়ার নিউজ প্রকাশিত হওয়ার ফলে দিনাজপুর জেলার জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ বিষয়টি নজরে আনেন এবং উপরোক্ত বিষয়ে স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে নজরদারি ও পরিদর্শনে পাঠান।
জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ এর নির্দেশে বিরামপুর উপজেলার নির্বাহী অফিসার নুজহাত তাসনীম আওন শনিবার ১৬ই মার্চ সকাল ১১ ঘটিকায় খানপুর ইউনিয়নের রতনপুর জমিদার বাড়িটি পরিদর্শনে করেন, এ সময় তিনি বলেন রতনপুরের জমিদার বাড়ির বেশ কিছু জায়গা বেদখল হয়ে গেছে তা শীঘ্রই উচ্ছেদের মাধ্যমে দখল করা হবে। এছাড়াও তিনি আরো বলেন, জমিদারবাড়িটির প্রত্নতাত্ত্বিক ইতিহাস অনেক সমৃদ্ধ। এটি সংস্কারের জন্য প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরে একটি আবেদন জরুরী ভিত্তিতেপাঠানো হবে। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের অনুমতি পাওয়া গেলে বাড়িটি সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বিরামপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুরাদ হোসেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুজহাত তাসনীম আওন বলেন, জমিদার রুক্মিণী কান্ত সরকার তাঁর স্ত্রী কণিকা রানি সরকারকে নিয়ে কলকাতার বাড়িতে চলে যান। পরে ১৯৭৩ সালের শেষের দিকে তিনি দেশে আসেন। এ সময় তিনি তাঁর প্রায় ১৩০০ বিঘা জমি বাংলাদেশ সরকারের কাছে রিটার্ন সাবমিট করেন এবং পরের দিন কলকাতায় ফিরে যান। বর্তমান যার মালিক সরকার বাহাদুর ও দিনাজপুর জেলা প্রশাসক।