ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে রাতের আঁধারে একের পর এক গরু চুরির ঘটনা ঘটেই চলেছে প্রতিনিয়ত,বিভিন্ন এলাকায় এই ধরনের গরু চুরির ঘটনায় চরম আতঙ্কিত সাধারণ খেটে খাওয়া গেরস্ত ও খামারিরা।প্রায় প্রতি সপ্তাহেই নবীনগরের প্রত্যন্ত অঞ্চলে গরু চুরির বিষয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানা যায়।
এরই মধ্যে গত কয়েকদিন আগে উপজেলার রছুল্লাবাদ ইউনিয়নের কালঘড়া গ্রামের মেজবাহ উদ্দিন নামক এক দরিদ্র পরিবারে সর্বশেষ সম্বল ৬টি গরু চুরি হলে সেই বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করে। এতে নড়েচড়ে উঠে নবীনগর থানা পুলিশ।
এর প্রেক্ষিতে উপজেলার শ্রীঘর গ্রামের বাসিন্দা আবদুল্লাহ নামক প্রভাবশালী চোর চক্রের এক সদস্যের বাড়িতে সন্দেহজনক আচরণ করায় গতকাল ১৩ মার্চ রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নবীনগর থানা পুলিশের একটি টিম হানা দিয়ে ৬ টি চোরাই গরু সহ তার সাথে জড়িত আবদুল্লাহকে আটক করেন। পুলিশ আব্দুল্লাহর বিলাসবহুল বাড়ির পেছনের দিকে গুপ্ত একটি গোয়ালঘর থেকে ৬টি গরু উদ্ধার করেন।
উদ্বারকৃত গরু থেকে ৪টি গরু নিজের বলে দাবি করে কান্নায় ভেঙে পড়েন দরিদ্র কৃষক মেজবাহ উদ্দিন।
এ সময় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে এই আবদুল্লাহ এলাকায় একটি সংঘবদ্ধ গরুচোর চক্রের সঙ্গে সক্রিয় থেকে অসংখ্য গরু চুরি করিয়েছেন,তার অপকর্মের বিরুদ্ধে কেউ ভয়েও কথা বলতে নারাজ।বহু পরিবার নিঃস্ব হয়ে গেছে গরু চুরের কারণে।তারা আইনের আওতায় আনায় বেশ আনন্দিত,সকল গরু চুরির তথ্য উদঘাটন করে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানান তারা।
এদিকে এলাকাবাসী আরো জানান,আটককৃত গরুচোর আব্দুল্লাহ নিজেকে ভালো মানুষ হিসেবে জাহির করে তার অপকর্ম চালিয়ে যেতে জনপ্রতিনিধি হওয়ার লক্ষ্যে গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মেম্বার পদে আপেল মার্কায় নির্বাচন করেছিলেন। যদিও নির্বাচনে সে পাশ করেন নি।
এ বিষয়ে নবীনগর থানার ওসি তদন্ত সজল দাস বলেন,গত ১১ মার্চ ৫টি গরু চুরির ঘটনায় নবীনগর থানায় একটি এজাহার দায়ের হয়,সেই আলোকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা আবদুল্লাহর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ৬টি গরু উদ্ধার করি,এলাকাবাসীর অভিযোগ তদন্ত করে দেখা হবে।তার সাথে আর কে কে জড়িত এই চুরির ঘটনায় সবকিছু খুঁজে বের করা হবে।