ঢাকার সাভারের জাহাঙ্গীরনগর হাউজিং সোসাইটি ল্যারোটরি স্কুল এন্ড গার্লস কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের রুমে আটকে ক্রিকেট খেলার ব্যাট দিয়ে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বিক্ষুদ্ধ অভিভাবকরা অধ্যক্ষের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি করেছেন।
জানা গেছে, সাভারের ছায়াবীথি এলাকায় অবস্থিত ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন সময় শিক্ষকদের দ্বারা শিক্ষার্থীদের নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ আছে। অভিভাবকরা এসব বিষয়ে বিভিন্ন সময় প্রতিবাদ করলেও স্কুলের কর্তা ব্যক্তিরা এ ব্যাপারে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। এরই ধারাবাহিকতায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ (রোববার) বিকেলে বিভিন্ন ক্লাসের প্রায় ১৫ জন শিক্ষার্থীকে শ্রেণী কক্ষে আটকে রেখে শারীরিক নির্যাতন করেন জাহাঙ্গীরনগর হাউজিং সোসাইটি ল্যাবরোটরি স্কুল এন্ড গার্লস কলেজের অধ্যক্ষ সোহেল রানা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষার্থীরা জানান, স্কুলে ক্রিকেট টুর্ণামেন্টে বিজয় লাভ করেন স্কুলের একটি দল। ঐ দলটি বিজয়ের আনন্দে স্কুলের একটি শ্রেণী কক্ষে সাউন্ড বক্সে আইপিএলের গান বাজিয়ে আনন্দ করতে থাকে। এ সময় জাহাঙ্গীরনগর হাউজিং সোসাইটি ল্যাবরোটরি স্কুল এন্ড গার্লস কলেজের অধ্যক্ষ সোহেল রানা কয়েকজন শিক্ষক নিয়ে ওই শ্রেণী কক্ষে গিয়ে দরজা আটকে দেন। এরপর শিক্ষার্থীদের হাতে থাকা মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে সেই মোবাইল দিয়ে আঘাত করেন তাদের। তিনি আরো ক্ষ্রীপ্ত হয়ে কক্ষে থাকা ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে প্রায় ১৫ জন বিভিন্ন ক্লাসের শিক্ষার্থীদের পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন। অধ্যক্ষের এই পেটানোর ঘটনায় কয়েকজন শিক্ষার্থীর শরীরে রক্তাক্ত জখম দেখা গেছে। অনেকক্ষণ পরে শ্রেণী কক্ষ থেকে মুক্ত হয়ে শিক্ষার্থীরা কান্নায় ভেঙ্গে পরে। ঘটনাটি অভিভাবক মহলে জানাজানি হলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন তারা।
এ ব্যাপারে জাহাঙ্গীরনগর হাউজিং সোসাইটি ল্যাবরোটরি স্কুল এন্ড গার্লস কলেজের অধ্যক্ষ সোহেল রানা বলেন, শিক্ষার্থীরা অশ্লিল গান বাঁজিয়ে উল্লাস করায় তাদের শাসন করা হয়েছে। এ সময় তাদের চড়-থাপ্পর মারা হয়েছে।
সাভার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মতুর্জা আহসান শরীফ বলেন, শিক্ষার্থীরা বিষয়টি অবগত করলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ ব্যাপারে সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আকবর আলী খান বলেন, এভাবে শিক্ষার্থীদের রুমে আটকিয়ে পেটানো একটি অমানবিক কাজ। এ ব্যাপারে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।