স্বাধীনতা পুরস্কার প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. সৈয়দা বদরুন নাহার চৌধুরীকে সংবর্ধনা প্রদান করেছে প্রগতিশীল প্রতিষ্ঠান চর্যাপদ সাহিত্য একাডেমি। শুক্রবার ৮ মার্চ সন্ধ্যায় নারী দিবস উপলক্ষ্যে তার বাসভবনে এ সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
চর্যাপদ একাডেমির সভাপতি নুরুন্নাহার মুন্নির সভাপতিত্বে এবং বিজ্ঞান ও আইসিটি পরিচালক রাসেল ইব্রাহীমের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন একাডেমির মহাপরিচালক অ্যাডভোকেট রফিকুজ্জামান রণি, উপমহাপরিচালক দুখাই মুহাম্মাদ, সহযোগী পরিচালক জয়ন্তী ভৌমিক, প্রচার ও প্রকাশনা পরিচালক নাজমুল ইসলাম, আর্কাইভ ও নথি ব্যবস্থাপনা পরিচালক আল-আমি সানি, নির্বাহী সদস্য কামরুন্নাহার বিউটি প্রমুখ।
এ সময় ডা. সৈয়দা বদরুন নাহার চৌধুরীর বর্ণাঢ্য জীবনের ওপর আলোকপাত করা হয় এবং তাঁর মুখ থেকে শোনা হয় সফলতার পেছনে লুকিয়ে থাকা সুখ-দুঃখের গল্প।
অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. সৈয়দা বদরুন নাহার চৌধুরী বলেন, ‘চর্যাপদ একাডেমি আজ যে সম্মানটুকু আমাকে দিয়েছে, আমি মনে করি এটা শুধু আমার প্রতিই সম্মান প্রদর্শন নয়, সমগ্র মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন। আমি যতটুকু জানি অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে একাডেমিটি আজ এ পর্যন্ত এসে পৌছেছে। আমার বিশ্বাস, চর্যাপদ একাডেমি এ দেশের ইতিহাস ঐতিহ্যকে লালন করার মধ্যে দিয়ে নিজেরাও ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকবে।’ এ সময় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তিনি চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি।
চর্যাপদ একাডেমির সভাপতি নুরুন্নাহার মুন্নি জানান, চর্যাপদ একাডেমির পক্ষ থেকে প্রতি বছর নারী দিবসে একজন সফল নারীর বাসভবনে ছুটে গিয়ে আমরা সংবর্ধনা প্রদান করি এবং তাঁর মুখ থেকে সাফল্যের পেছনে লুকিয়ে থাকা সুখ-দুঃখের গল্প শুনি।
চর্যাপদ একাডেমির মহাপরিচালক রফিকুজ্জামান রণি জানান, নারী দিবসে একজন নারীকে সংবর্ধনা প্রদান করার মধ্য দিয়ে আমরা নিজেরা সম্মানিত হই। এর আগে সংগীতশিল্পী ইতু চক্রবতী এবং জেলা উদীচীর সভাপতি মহান মুক্তিযুদ্ধের কণ্ঠযোদ্ধা কৃষ্ণা সাহাকে এ সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।