ডিজিটাল প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে নারী-পুরুষের বৈষম্য নিরসনের লক্ষ্য নিয়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালিত হচ্ছে। দিবসটি উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন ঢাকা জেলা যুবলীগের নেতা এম এম জাহেরুল আহসান ফারুক।
‘ডিজিটাল প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন জেন্ডার বৈষম্য করবে নিরসন’ প্রতিপাদ্যে বুধবার এ দিবস পালিত হবে।
নারীর সম-অধিকার প্রতিষ্ঠায় ১৯১৪ সাল থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ নারী দিবস পালন করে আসছে; পরে ১৯৭৫ সাল থেকে জাতিসংঘ দিনটিকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালন করছে।
দিবসটি উপলক্ষে ঢাকা জেলা যুবলীগের নেতা এম এম জাহেরুল আহসান ফারুক বাণী দিয়েছেন।
বাণীতে ঢাকা জেলা যুবলীগের নেতা এম এম জাহেরুল আহসান ফারুক বলেন, বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে পুরুষদের তুলনায় নারীদের প্রযুক্তি এবং ইন্টারনেট ব্যবহার সীমিত। বাংলাদেশের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে নারীদের প্রযুক্তি ক্ষেত্রে এগিয়ে নেওয়ার জন্য এবং ২০৪১ সালের মধ্যে কাঙ্ক্ষিত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের চারটি ভিত্তি- স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্মেন্ট, স্মার্ট সোসাইটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, “চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের এই যুগে জ্ঞানভিত্তিক দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার জন্য নারী-পুরুষ সবাইকে আমরা তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ে প্রশিক্ষণের আওতায় নিয়ে এসেছি। নারীর কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ও উদ্যোক্তা তৈরিতে জয়িতা ফাউন্ডেশনের অনলাইন মার্কেট প্লেস ‘ই-জয়িতা’ চালু করা হয়েছে।”
নারী উন্নয়নে দেশের বিভিন্ন অগ্রগতির কথা তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে দেশের নারী ও শিশুর উন্নয়নে ভূমিকা রাখার জন্য অর্জিত হয়েছে জাতিসংঘের সাউথ-সাউথ পুরস্কার।
“নারীর ক্ষমতায়নে সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে আমরা অর্জন করেছি জাতিসংঘ কর্তৃক ‘প্ল্যানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন’ ও ‘এজেন্ট অব চেঞ্জ’ অ্যাওয়ার্ড। শিক্ষায় লিঙ্গ সমতা আনার স্বীকৃতিস্বরূপ ইউনেস্কোর ‘শান্তি বৃক্ষ’ এবং গ্লোবাল উইমেনস লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড- ২০১৮। দারিদ্র্য দূরীকরণ, পৃথিবীর সুরক্ষা ও সবার জন্যে শান্তি-সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে উদ্যোগ গ্রহণ করায় ২০২১ সালে অর্জিত হয়েছে ‘এসডিজি অগ্রগতি পুরস্কার’।”