লাখো মানুষের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় চির নিদ্রায় শায়িত হলেন ঠাকুরগাঁওয়ের কিংবদন্তি রাজনীতিক, সাবেক ইউপি ও উপজেলা চেয়ারম্যান ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপি সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা তৈমুর রহমান।
বুধবার (৬ মার্চ ) বাদ যোহর সদর উপজেলার রুহিয়া সালেহীয়া দারুসুন্নাত ফাজিল মাদ্রাসা মাঠে রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ মর্যাদা গার্ড অব অনার প্রদান করেন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বেলায়েত হোসেন, এসময় উপস্থিত ছিলেন ঠাকুরগাঁও জেলা ও সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্বা সাবেক কমান্ডারগণ। জানাজায় মুঠোফোনে অংশ নিয়ে কথা বলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর । দ্বিতীয় জানাজা শেষে সংলগ্ন কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। তাকে শেষ বারের মতো এক নজর দেখতে ভিড় জমান হাজারো ভক্তরা।
সে সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মী, সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং পার্শ্বে মির্জা রুহুল আমীন মিলনায়তন মাঠ প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর দুপুরে মরদেহ নেয়া হয় নিজ জন্মস্থান রুহিয়া এলাকায় একে একে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা হয় ১ নং রুহিয়া ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে এর পরে রুহিয়া থানা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে। দলীয় কার্যালয়ে রাখা হলে হাজারো নেতাকর্মী, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী ও সব শ্রেণিপেশার শ্রদ্ধা জানান।
ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা তৈমুর রহমান রোববার (০৩ মার্চ) বিকেল সাড়ে তিনটার সময় ভারতের মুম্বাইয়ে টাটা মেমোরিয়ার হাসপাতালে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহে ওয়া…. রাজেউন)।মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। তিনি স্ত্রী, ৩ ছেলে ২ মেয়ে নাতি নাতনী সহ অসংখ্য গুনগ্রাহি রেখে গেছেন।তিনি ২০১৪ সালে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এরপূর্বে তিনি ৩ বার ১নং রুহিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন। ১৯৮৪ সালে প্রথমবার রুহিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তিনি। ২য় বার ১৯৯২ সালে এবং ৩য় বার ১৯৯৭ সালে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ছাত্র জীবনে তিনি বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন এবং পরবর্তীতে সিপিবির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন।৯০ এর দিকে তিনি বিএনপির রাজনীতিতে যোগদান করেন এবং ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ছিলেন। ক্রমান্বয়ে তিনি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সর্বশেষ জেলা বিএনপির সভাপতি হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন।