স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, বিএনপি একটা জনবিচ্ছিন্ন পার্টি হয়ে গিয়েছে। তাদের ধ্বংসলীলা গুলো দেখেছেন। তারা শুরু থেকেই একটা স্বরযন্ত্রের মাধ্যমে এদেশে এসেছিল। রক্তের গঙ্গা বহিয়ে তাদের দলের উৎপত্তি। তারা জনগণের কথা চিন্তা করে না, তারা দেশের ক্ষমতায় বসতে চায়। ২০০৮ এর নির্বাচনে তারা মাত্র ৩০টি সিট পেয়েছিল। ২০১৪ তে তারা ইলেকশন না করে ধ্বংসলীলা শুরু করলো, মানুষ পুড়িয়ে মারা শুরু করলো। এবার আমরা দেখলাম সেই একই কায়দায় তারা রক্তের হলিখেলা শুরু করলো। ২৮ আগষ্ট তারা ধ্বংসলীলা চালিয়েছিল। তাদের নেতা ইংল্যান্ড থেকে দিক নির্দেশনা দেয়, কিন্তু তাদের নেতাকর্মীদের কি হবে সেটা চিন্তা করে না। তাদের ভুল যদি উপলদ্ধিতে না আসে তাহলে তাদের অস্থিত থাকবে বলে মনে হয় না।
গত নির্বাচন নিয়ে বিদেশীদের ভুমিকার বিষয়ে তিনি বলেন, অনেক দেশই তো অনেক কথা বলে, অনেক দেশে, গণতন্ত্রের চর্চা কিভাবে হয় তা সবার জানা। কোন কোন উন্নত দেশে ২০ থেকে ২৫ পর্সেন্ট ভোট কাস্ট হয়। আমাদের এখানে ৪২ পার্সেন্ট ভোট কাস্ট হয়েছে। এরপও যদি কেউ বলেন নির্বাচন সুষ্ঠ হয়নি তাহলে তো আমাদের কিছু বলার থাকে না। এদেশে সুষ্ঠ গণতান্ত্রিক ধারা বজায় রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী চিন্তা করছেন। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চিন্তা করছেন। কাজেই কোন দেশ কি বললো আমার মুখ্য বিষয় না।
মন্ত্রী বৃহস্পতিবার দুপুরে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ মাঠে কমিউনিটি পুলিশিং ও মাদক বিরোধী সমাবেশে যোগ দেয়ার আগে সংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন মাদকের ঢোপটেস্ট নিয়ে বিধিমালা তৈরি হচ্ছে।
এসময় কুড়িগ্রাম-২ আসনের সংসদ সদস্য হামিদুল হক খন্দকার, কুড়িগ্রাম-৩ আসনের সংসদ সদস্য সৌমেন্দ্র প্রসাদ পান্ডে ও কুড়িগ্রাম-৪ আসনের সংসদ বিল্পব হাসান পলাশ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: আব্দুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী, রংপুর রেন্জের ডিআইজি মো: আব্দুল বাতেন, কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মো: সাইদুল আরীফ, পুলিশ সুপার আল আসাদ মো: মাহফুজুল ইসলাম, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মো: জাফর আলী ও সাধারণ সম্পাদ আমান উদ্দিন আহমেদ মন্জু সহ পুলিশের কর্মকর্তা ও দলীয় নেতাকমর্ীরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে মন্ত্রী লালমনিরহাটের উদ্দিশ্যে কুড়িগ্রাম ত্যাগ করেন।