যে কোন মূল্যে মহাসড়ক ও ফুটপাত হকার মুক্ত রাখার ঘোষনা দিয়েছেন সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আকবর আলী খান, পিপিএম। বর্তমানে ঢাকার সাভারের মহাসড়ক ফুটপাত হকার মুক্ত থাকায় জনমনে স্বস্থি এসেছে। যানজটও কমেছে গুরুত্বপূর্ণ বাসস্ট্যান্ড গুলোতে। এ ছাড়াও পরিবহন খাতে চাঁদাবাজি বন্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ। মহাসড়কের বর্তমান অবস্থা বহাল থাকবে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
দেখা গেছে, ঢাকার হেমায়েতপুর, আমিনবাজার, সাভার বাসস্ট্যান্ড, রেডিও কলোনীসহ বিভিন্ন এলাকার মহাসড়ক দখলে ছিল শত শত হকারদের। এ অবস্থায় মহাসড়কে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়েছিল। সাধারণ পথচারীরা পর্যন্ত হেঁটে রাস্তায় চলাচল করতে পরতো না। অন্য দিকে সাভারের সব মার্কেট, বিপনী বিতান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনের অংশ দখল করে হকার বসাতে ক্ষতির মুখে পড়েছিল সাধারণ ব্যবসায়ীরা।
পুলিশ ও তথ্যসূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ১২ ডিসেম্বর আকবর আলী খান, পিপিএম সাভার মডেল থানায় অফিসার ইনচার্জ হিসেবে যোগদান করেন। এরপর তিনি সাভারের ফুটপাতের ভয়াবহ এই দৃশ্য ও জনদূর্ভোগ অনুধাবন করেন। এরপর সিদ্ধান্ত নেন, যে কোন মূল্যে ফুটপাত হকার মুক্ত করার। শুরু হয় মহাসড়ক হকার মুক্ত করার অভিযান। একটানা কয়েকদিন অভিযান পরিচালনা করে ফুটপাত হকার মুক্ত করা হয়। এ পরিস্থিতিতে সাধারণ হকারদের ক্ষতির মুখে পড়তে হয়। হকাররা ফুটপাতে বসার জন্য পরবর্তীতে চেষ্টা চালালেও পুলিশের কঠোর ভূমিকার কারণে তা আর সম্ভব হয়নি। বর্তমানে সাভারের মহাসড়ক ও ফুটপাত হকার মুক্ত থাকায় যান ও পথচারীদের চলাচলে প্রতিবন্ধকতার অবসান হয়েছে। এখনও সাভারের মহাসড়ক ও ফুটপাতে এই অবস্থা বিরাজ করছে।
সাভারে যোগদানের পূর্বে আকবর আলী খান গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানার অফিসার ইনচার্জ হিসেবে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। সেখানেও তার গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ সাধারণ জনগণের কাছে স্মরণীয় হয়ে রয়েছে।
সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আকবর আলী খান বলেন, পুলিশ জনস্বার্থে কাজ করে থাকে। মুষ্টিমেয় জনগোষ্ঠীর কারণে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর সমস্যা হোক এটা পুলিশ কখনও চায় না। যে কোন মূল্যে সাভারের সকল মহাসড়ক ও ফুটপাত এভাবে হকার মুক্ত থাকবে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, মহাসড়কে পরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধে ইতিমধ্যেই অভিযানের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে সাভার মডেল থানা পুলিশ। চিহিৃত পরিবহন চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে মাঠে নেমে পুলিশের অভিযান চলবে সারা সাভার থানা এলাকায়। এতে পরিবহন খাতে স্বস্থি ফিরে আসবে বলেও মনে করেন তিনি।