শীতকে বিদায় আর বসন্তকে বরণ করে নিতে খুলনার দাকোপে জমে উঠেছে বসন্ত উৎসব।আবাহমান গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য আর উদ্যোক্তাদের প্রতিভা তুলে ধরতে ফাল্গুনে বর্ণিল সাজে সাজে তরণী ও বিভিন্ন বয়সের নারীদের পাশাপাশি পুরুষরাও বসন্ত উৎসবে মাতোয়ারা।অনেক রকমের পিঠাপুলি আর বাহারি পোশাক
নজর কাড়া কালেকশন নিয়ে হাজির হয়েছে তারা।নাচ গান আর আনন্দ -উল্লাসে মেতে উঠেছেন দর্শনার্থী ও ক্রেতারা।
তরুণ-তরুণী ও বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ একত্রিত হয়ে প্রাণের ছোঁয়ার উল্লাসে নাচে-গানে উল্লাসে মেতে উঠে। ফাল্গুনের ছোঁয়ায় আগামী দিনের পথ চলা যেন আরোও সুন্দর হয় এই প্রত্যাশা করে আগতরা।উৎসবে কারুকার্যখচিত পণ্য সামগ্রী ও বাহারি রকমের খাবারের আয়োজন নিয়ে হাজির হওয়া স্টলগুলোতে ছিল উপচে পড়া ভিড়। শুধু কেনা-বেচা নয়, প্রতিভা বিকাশ ও শিক্ষণীয় সমাহার ছিল মেলায়।
খুলনার দাকোপে বাসন্তী পিঠা উৎসব ও লোকজ সাংস্কৃতিক মেলা ২০২৪ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২ মার্চ শনিবার বিকাল তিনটার দিকে উপজেলা পরিষদ মাঠ চত্তরে উপজেলা প্রশাসন ও শিল্পকলা
একাডেমির আয়োজনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার
জয়দেব চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে মেলার উদ্বোধন করেন খুলনা-১আসনের সংসদ সদস্য ননীগোপাল মন্ডল।এসময় তিনি বলেন,ফাল্গুন আমাদের বাঙালিপনার ঐহিত্য। এই ফাল্গুনকে নিয়ে বাঙালির কবিতা রয়েছে তার কোনো শেষ নেই। ফাগুনের ভালোবাসা কোনো দিন ফুরিয়ে যাবে না। বসন্তকালে নতুন কিছু আসে সবার জীবনে। তাই আমরা নতুন কিছুর প্রত্যাশা সব সময়ে করি। আর বসন্ত মানেই তো আনন্দ।
বিশেষ অতিথির হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) পাপিয়া সুলতানা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ¦ শেখ আবুল হোসেন, দাকোপ থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মাদ আব্দুল হক, চালনা পৌরসভার মেয়র সনত কুমার বিশ্বাস, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কামরুল হাসান, সমাজসেবা কর্মকর্তা প্রজিত রায়, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সুরাইয়া সিদ্দিকা, আইসিটি কর্মকর্তা সমীর বিশ্বাস, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অসিত কুমার সাহা, এ্যাডঃ জি এম কামরুজ্জামান, ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ছাব্বির আহম্মেদ, ইউপি চেয়ারম্যান মানস রায়, দাকোপ প্রেসক্লাব সভাপতি গোবিন্দ বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক সম্পাদক জি এম রেজাসহ বিভিন্ন দপ্তর প্রধান, জনপ্রতিনিধি ও সাংবাদিক বৃন্দ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাগর সেন। মেলার ৩২ স্টলের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশীয় পিঠাসহ নানা ধরনের সামগ্রী প্রদর্শন ও বিক্রয় করা হয়।