২৭ ফ্রেবুয়ারি ২০২৪ মঙ্গলবার দিবাগত রাতে অনুষ্ঠিত হয়েছে তিলডাঙ্গা শ্নশানকালি পুজা।লক্ষধিক ভক্তেরসমাগমে পুজা প্রাঙ্গন জন সুমুদ্রে পরিনত হয়। সরোজমিনে দেখাযায় মঙ্গলবার সকাল থেকে মাটির হাড়িতে বাতাসা এবং ব্যাগভরে বিভিন্ন ধরণের ফল নিয়ে উপজেলা সহ,দেশ এবং দেশের বাইরে থেকে ভক্তরা বিভিন্ন যানবাহনে চড়ে পুজা মন্ডপের সামনে আসতে থাকে। মঙ্গলবার সকাল গড়িয়ে রাত যত গভীর হয় তত জন-সমাগম জনসুমুদ্রে পরিণত হতে থাকে। প্রতিবছর একই দৃশ্য নজরে পড়ে।সারা বছর মানুষ সংসার জীবনে বিভিন্ন প্রাপ্তির জন্য কালি মায়ের কাছে মানদ করেযান। মাও তাদের মনস্কামনা পুর্ণ করেন তাই ভক্তের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এবারে মায়ের সামনে ভক্তদের মনবাসনা পুর্ণ হওয়া হওয়ায় ৩৮৬ টি পাঠাবলি হয়েছে। একরাতে বহুভক্তের আগমন তাই প্রচুর ভাতের হোটেল ও রেষ্টুরেন্ট বসে পুজার রাতে। খাবারের দোকান ছাড়া বহু রকমের রকমারি দোকানে মানুষের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ করা যায়।
নির্ধারিত মঞ্চে একের পর এক বিভিন্ন দল ও প্যানেলের নেতারা বক্তব্য করে চলে যাচ্ছেন। দিচ্ছেন সাধ্যমত অনুদান।
মেলায় অপ্রতিকার ঘটনা এড়াতে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কড়া নজর দারির ব্যাবস্হা গ্রহন করেছে। শ্রীশ্র্রী শ্মশানকালি পূজার কালিমায়ের ২৩০ তম কালিপুজায় ৩৮৬ টির মত পাঠাবলি হয়েছে।পূজা উদ্যাপন কমিটির সভাপতি বিকাশ কুসুম সরদার ও সম্পাদক গৌতম রায় বলেন, তিলডাঙ্গার শ্মশানকালি পূজার ২৩০ বছর পুর্ন হয়েছে। নড়াইলের জমিদার নৃপেন্দ্র কিশোর রায় এ পূজা প্রথম শুরু করেছিলেন এবং তিনি যেভাবে পূজা করেছিলেন এখনও আমরা সেভাবেই মায়ের পূজা করে চলেছি। হিন্দু, মুসলিম, খ্রীষ্টান সবাই মায়ের কাছে আসেন, বুধবার বিকাল পর্যন্ত চলেছে প্রসাদ বিতরণ ও কবিগান।
স্বপন কুমার রায় সকালের সংযোগ ২৪ খুলনা।