দেশপ্রেম ও সামাজিক দায়বদ্ধতায় কানাডায় প্রতিষ্ঠিত ব্যবসা রেখে বাংলাদেশে এসে ২০০৮ সালে আবাসন ব্যবসায় বিনিয়োগ করেন মো. আলিমুল্লাহ খোকন। প্রায় তিন দশক প্রবাস জীবন কাটিয়ে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করায় অনেকে বলেছিলেন তিনি ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, আসলে তিনি সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়ে ছিলেন।
সবাই যখন উন্নত জীবনের আশায় প্রবাস জীবন বেছে নেয়, আলিমুল্লাহ খোকন তখন উন্নত জীবন ছেড়ে বাংলাদেশে আসেন আর্থ সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজ করতে। প্রতিষ্ঠা করেন ল্যান্ডমার্ক কনস্ট্রাকশন ও ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড। যা খুব অল্প দিনেই বাংলাদেশে আবাসন ব্যবসায় সুনাম অর্জন করে এবং রিহ্যাবের সদস্য পদ হয়।
আলিমুল্লাহ খোকন বহু সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত। তিনি প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ‘নিরাপদে চলি সোসাইটি’। দেশ ব্যাপী এই সংগঠনের কার্যক্রম চলমান। তার উদ্যোগেই গড়ে উঠেছে মগবাজার সোসাইটি, যা পুরো এলাকা সিসি ক্যামেরার আওয়াতায় একটি নিরাপদ এলাকা গড়ে তুলেছে।
আলিমল্লাহ খোকন ব্যবসা ও সামাজিক কাজের পাশাপাশি চলচ্চিত্র প্রযোজনা করেন। তিনি দায়িত্ব পালন করছেন জাজ মাল্টিমিডিয়ার সিইও হিসেবে। চলচ্চিত্র ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতির নির্বাচিত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে সফল ভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বাংলাদেশ ফিল্ম ক্লাব লিমিটেডের দুই বার নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
মানসম্মত সিনেমা প্রযোজনার জন্য আলিমুল্লাহ খোকন দেশে ও বিদেশে পরিচিত। তার প্রযোজিত ‘দেশা দ্য লিডার’ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছে। মুক্তির অপেক্ষায় তার প্রযোজিত ‘ময়না’ সিনেমা লন্ডনে পুরস্কার অর্জন করেছে।
ব্যবসায়ীক অবদান রাখায় আলিমল্লাহ কানাডায় সেঞ্চুরি ২১ কর্তৃক ২০০৭ ও ২০০৮ সর্বচ্চ কমিশন অর্জনকারী হিসাবে স্বীকৃত ও পুরস্কার। রিহ্যাবে তিনি প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর। যেখানেই অনিয়ম দুর্নীতি সেখানেই প্রতিবাদে দাঁড়িয়ে যান তিনি।
আলিমল্লাহ জানিয়েছেন রিহ্যাব সদস্যদের কল্যানে তিনি কাজ করবেন। দীর্ঘদিন রিহ্যাবের নির্বাচন না হওয়ায় ব্যবসায়ীদের চরম ক্ষতি হয়েছে। তিনি নির্বাচিত হলে ড্যাপ সমস্যাসহ রাজুকের নানা সমস্যা দূর করবেন এবং দূর্নীতিমুক্ত রিহ্যাব গড়ে তুলতে কাজ করবেন।
উল্লেখ্য, বিগত কয়েক বছর অবৈধ ভাবে রিহ্যাবের সদস্যপদ বাতিল, সন্ত্রাসী হামলা ও মামলার ভয় দেখিয়ে একটি চক্র রিহ্যাবের অর্থ লুটপাট সহ নানাবিধ অপকর্মে জড়িয়ে ছিল। রিহ্যাবের সকল অনিয়ম ও বাধা বিপত্তি অতিক্রম করতে কতিপয় রিহ্যাব সদস্য সামনে থেকে সরাসরি নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, তাদের মধ্যে অন্যতম একজন মোহাম্মদ আলিমুল্লাহ, রিহ্যাব নির্বাচনে তার ব্যালট নং ৬৫।
আলিমল্লাহ রিহ্যাবের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার কর্মকাণ্ডে সরাসরি জড়িত থাকার কারনে রিহ্যাবের বেতনভুক্ত কর্মচারী আজমল তার নামে মিথ্যা বানোয়াট ও সাজানো মামলা দিয়েছে, মামলা এখনো চলমান। রিহ্যাবের সদস্যদের দাবি আদায় করতে যেয়ে অন্যায় ভাবে মামলার শিকার আলিমুল্লাহ খোকনকে আসন্ন নির্বাচনে সমর্থন দিবেন এমনটা জানিয়েছেন একাধিক রিহ্যাব সদস্য।