কুড়িগ্রাম সদর উপজেলায় শিক্ষকের কাছ থেকে পাওনা টাকা ফেরত চাওয়াকে কেন্দ্র করে মোঃ ফারুক হোসেনের ঘরবাড়ি ও মোঃ রফিকুল ইসলামের দোকানপাঠ ভাঙচুর করছে দূর্বৃত্তরা। এসময় রফিকুল ইসলাম ও ফারুক হোসেনের কয়েক লাখ টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগ তাদের। অপর দিকে দূর্বৃত্তরদের হামলায় ভয়ে বাড়ি ঘর ছেড়ে পালিয়েছেন তারা।
শুক্রবার (১৮ফেব্রুয়ারী) সকাল ১০ টার দিকে সদরের হোলোখানা ইউনিয়নের লক্ষিকান্ত ঠগের হাট গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, ফারুক হোসেনের সঙ্গে পাওনা টাকাকে কেন্দ্র লক্ষীকান্ত আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আজাদ হোসেন ও প্রধান শিক্ষক মোঃ মিজানুর রহমানের দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলে আসছিল। পরে পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে আজ শুক্রবার সকালে শিক্ষকরা ভারাটে সন্ত্রাসী ডেকে রফিকুল ইসলামের দোকানপাঠ ও ফারুকের ঘরবাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ করেন ফারুক হোসেন।
এ ঘটনায় মোঃ ফারুক হোসেন জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ ফোন দেন। পরে পুলিশ আসার আগে দূর্বৃত্তরা রফিকুল ও ফারুকের বাড়ির আসবাবপত্রসহ নগদ টাকাসহ কয়েক লাখ টাকার ক্ষতি করে পালিয়ে যায়।
প্রধান শিক্ষক মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, আমি জানি না। আমি নামাজে যাচ্ছি। যার সাথে এ ঘটনা তার সাথে (আজাদ মাস্টারের) সাথে সাথে কথা বলেন। এ বিষয়ে জানতে আজাদ হোসেনকে একাধিক বার ফোন দিলেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
ভুক্তভোগী ফারুক হোসেন অভিযোগ করে বলেন, আমি গত চার বছর আগে মিজানুর রহমান ও আজাদ স্যারকে চাকুরীর জন্য ১২ লাখ টাকা দেই। চাকুরী তো নাই নাই, সেই টাকা দিচ্ছেন না তারা। এ নিয়ে অনেক সালিস হয়েছে। টাকার জন্য চাপ দিলে আজ তারা লোকজন দিয়ে আমার বাড়ি ঘর ভাঙচুর করেছে।
আমরা তাদের ভয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছি।
সদরের হলোখানা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোঃ রেজাউল করিম রেজা বলেন, খবর পাওয়ার পর আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি। ব্যাপক পরিমাণে ভাংচুর হয়েছে। তবে কে-বা কাহারা করেছে আমার জানা নেই।
কুড়িগ্রাম সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মাসুদুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় থানায় কোন অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।