পটুয়াখালী সদর উপজেলার বৃদ্ধ বাবা মাকে ঘর থেকে বের করে দিলো সন্তান।
ডিবুয়াপুর গ্রামের তিন সন্তানের জনক আলতাফ সিকদার ও জননী মোসাম্মাদ সুফিয়া বেগমের যথাক্রমে তিন সন্তান রয়েছে এদের মধ্যে ছেলে আল মামুন বড় এবং দুই মেয়ে যথাক্রমে মানসুরা বেগম ও মারুফা বেগম মেয়েদের ইতিমধ্যে বিবাহ হয়েছে।
ছেলে মেয়েদের ভিতর ছেলে সবার বড় ছেলে বর্তমানে আর এফ এল কম্পানিতে বরগুনাতে কর্মরত রয়েছে, ছেলে মেয়েদের বাবা আলতাফ সিকদার দীর্ঘদিন ধরে গরুর ব্যবসা করে আসছে ছেলেকে এম এ পাস করিয়েছে এবং মেয়েদের ও উপযুক্ত শিক্ষায় শিক্ষিত করে মেয়েদের বিয়ে দেয়া হয়েছে। ছেলের লেখা পড়া শেষ করে শহরের হেতালীয়া বাধঘাট এলাকায় একটি কসমেটিকস এর দোকান করে দেন তারবাবা এতে প্রায় ৮-১০ লক্ষ টাকা ব্যয় করেন,কিছু দিনের মধ্যেই আল মামুন অন্যের প্ররোচনায় ঐ দোকান বিক্রি করে শশুরালয় চলে জায় এবং বাবার কাছে আরও ২৭ লক্ষ টাকা দাবী করেন এ বিষয় এলাকার গন্যমান্য একাধিক ব্যাক্তি অবগত রয়েছেন,বাবা আলতাফ সিকদার টাকা দিতে অস্বীকার করলে বাবা এবং মায়ের উপর নেমে আসে অমানুষিক নির্যাতন, উল্লেখ্য বাবাকে একাধিকবার মারধরের ঘটনা ও এলাকায় শোনা যায় এ বিষয় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার একাধিক ব্যাক্তি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। ছেলে এবং পুত্র বধুর অত্যাচারে বাবা মা ঘর ছারা হয়ে জামাইয়ের বাড়ীতে দীর্ঘদিন ধরে অবস্থান করছে এমনকি আলতাফ সিকদার ইতিমধ্যে খেয়ে না খেয়ে বিভিন্ন মসজিদে রাত কাটানোর ও অভিযোগ রয়েছে।
এক সময় বাবা মা অতিষ্ঠি হয় এবং প্রায় ২, বছর পূর্বে বাবা মাকে বাসা থেকে বের করে দেয়, এ বিষয় বাবা আলতাফ পটুয়াখালী সদর থানা সহ জেলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করেও বিচার না পেয়ে আলতাফ হোসেন ন্যায় বিচারের স্বার্থে দারে দারে ঘুরে বেরাচ্ছেন। এবং তার স্ত্রী এক মেয়ের বাসায় কোন ভাবে জীবন যাপন করছেন,এমতাবস্থায় ভুক্তভোগী আলতাফ এবংতার স্ত্রী তার বাড়ী ফেরত পেতে দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেরাচ্ছেন।ঘর ফিরে পেতে জেলা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য সহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
এ বিষয় পটুয়াখালী সদর থানায় বিচার চেয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও এখন পর্যন্ত তার কোন সুফল পায়নি ভুক্তভোগী আলতাফ এবং তার স্ত্রী, এক প্রশ্নের জবাবে আলতাফ হোসেন বলেন আমার ভিটাবাড়ী ফিরে পেতে প্রয়োজনে আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শরণাপন্ন হবো। এলাকার সচেতন মহল বলছে অতিসত্বর আলতাফ এবং তার স্ত্রীকে তাদের ঘর সহ যাবতীয় জিনিস পত্র ফেরত না দিলে তারা কঠোর আন্দোলন গরে তুলবেন। এ বিষয় অভিযুক্ত আল মামুনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তার কাছ থেকে এ বিষয় কোন সদুত্তর পাওয়া যায়নি।
এ ছারা এলাকাবাসী বলছে অভিযুক্ত আল মামিনকে আইনের আওতায় এনে কঠিনতম শাস্তি সহও আলতাফ সিকদার এর ফেরত দেয়ার জন্য জেলা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তথা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
এ বিষয় তদন্ত কর্মকর্তা এ এস আই কাইউম বলেন অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন সহ স্থানীয় স্বাক্ষী সহ একাধিক ব্যাক্তির বক্তব্য নেয়ার পরও আমি কোন পক্ষকে সমঝোতায় আনতে পারি,তবে অভিযোগকারী চাইলে উচ্চতর আদালতে যেতে পারেন।