ভার্সেটাইল অভিনেতা আশীষ খন্দকার। বড় পর্দা ও ওটিটির কাজের ব্যস্ততার মাঝেও মঞ্চে নিয়মিত নির্দেশনা দিচ্ছেন তিনি। তার নির্দেশনায় আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি মঞ্চে আসছে কমেডি নাটক ‘দ্য স্কুল ফর ওয়াইভস’, যার বাংলা নাম ‘বউদের পাঠশালা’। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পরীক্ষণ থিয়েটার হলে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মঞ্চস্থ হতে যাচ্ছে এক ঘণ্টা ব্যাপ্তির ‘বউদের পাঠশালা’। বিখ্যাত ফরাসি নাট্যকার ‘মঁলিয়ে’র লেখা ক্ল্যাসিক্যাল কমেডি দ্য স্কুল ফর ওয়াইভস। মাইলস ম্যালসনের ইংরেজি অনুবাদ থেকে বাংলা রূপান্তর করেছেন আশীষ খন্দকার।
বউদের পাঠশালা নাটকের গল্প নিয়ে জানতে চাইলে আশীষ খন্দকার জানান, নাটকে দেখা যাবে জনবহুল প্যারিসের চৌরাস্তার মোড়, আর্নোলফির বাড়ি। কয়েকদিন পর ধনী বুড়ো তার বাসায় ফিরে আসে। এরই মধ্যে সে তার ছদ্ম নাম রেখেছে ‘লা সুচি’। শিশু বয়স থেকে পালিত আগনিসকে বিয়ে করার ব্যাপারে মনস্থির করে। অনভিজ্ঞ আগনিস, যখন তার বয়স ছিল ছয় বছর, তখন থেকেই বুড়ো আর্নোলফি তার সুন্দর ভবিষ্যৎ তৈরি করতে ও নিজের জীবনের সঙ্গে জড়াতে স্বপ্নবিলাসী হয়। বাধিত বউদের মতো আগনিসকে সে শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে প্রয়াসী হয়। হঠাৎ করে আর্নোলফি তার পুরনো বন্ধু ওরেন্টোর ছেলে হোরেসকে দেখে আনন্দে আপ্লুত হয়ে ওঠে।
যুবক হোরেস তার বাবা ওরেন্টোর আসার আগেই প্যারিসে চলে আসে, আর্নোলফির অনুপস্থিতিতে আগনিসের সঙ্গে তার দেখা হয়। হোরেস জানে না, এই সেই ছদ্মবেশী ‘লা সুচি’ যে কিনা তার বাবার পুরনো বন্ধু আর্নোলফি। হোরেস আগনিসের সঙ্গে বাঁধনহারা প্রণয় রচনা করে। ঘটনাচক্রে হোরেস আর্নোলফির কাছেই আগনিসকে পেতে সাহায্য প্রার্থনা করে। আর্নোলফি আগনিসের কাছে জানতে চায় যে তার অনুপস্থিতিতে এক যুবক এ বাড়িতে আসে কিনা এবং আগনিসের সঙ্গে প্রণয় রচনা করে কিনা। আর্নোলফি আগনিসকে বলে, সে যা করছে সেটা হলো যৌবনের অপব্যবহার। সে আগনিসকে তার আচরণের দিকে মনোযোগী হতে বলে। আগনিস শুধু আর্নোলফিকেই বিয়ে করবে। আর্নোলফি আগনিসকে ‘বই’ দেয় এবং শিক্ষা নিতে বলে। কীভাবে বউয়েরা স্বামীর অনুগত থাকবে।
এভাবেই এগিয়ে যাবে বউদের পাঠশালার গল্প। নাটকটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন মোহাম্মদ আমিন, তোতো তিমথীয়, তানভীর নাহিদ, পারভেজ রানা, মেহেদী, পলাশ ইমতিয়াজ, মানিসা অর্চি ও সংগীত বাড়ৈ। শিল্প নির্দেশনায় আছেন সংগীত বাড়ৈ, সংগীতে জেরিন চাকমা ও ব্যবস্থাপনায় আছেন তানভীর হাসান নাহিদ।