ফরিদপুরে চাঞ্চল্যকর ও লোমহর্ষক অজ্ঞাতনামা (স্যুটকেস ভর্তি লাশ) এর হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন সহ মূল আসামী গ্রেফতার এবং মালামাল উদ্ধার করেছেন পুলিশ।
এই সংক্রান্তে আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় জেলা পুলিশের কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত প্রেস ব্রিফিং করেন জেলা পুলিশ সুপার মোঃ মোর্শেদ আলম। তিনি জানায়,গত (২৭ জানুয়ারি) সকাল ৭টায় কোতয়ালী থানার সদরের গোয়ালচামট নতুন বাসস্ট্যান্ড গোল্ডেন লাইন পরিবহনের কাউন্টারের ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের পাশে পরিত্যক্ত অবস্থায় ১টি লাগেজ পাওয়া যায়। স্থানীয় লোকজন ৯৯৯ এ কল দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাগেজের তালা ভেঙে লাগেজের ভিতর অজ্ঞাতনামা পুরুষের লাশ উদ্ধার করেন।
এই ঘটনায় কোতায়ারী থানার এসআই মোঃ শামীম হাসান বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা
আসামীদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এই ঘটনায় পুলিশের একটি চৌকস টিম উন্নত তথ্য-প্রযুক্তি ও স্থানীয় তদন্তের মাধ্যমে স্যুটকেস বহনকারী মাহিন্দ্র গাড়ি সহ ড্রাইভারকে রাজবাড়ি জেলা গোয়ালন্দ ঘাট থানার গোয়ালন্দ বাজার থেকে আটক করেন।
মাহিন্দ্র ড্রাইভার এর তথ্যের ভিত্তিতে আর এক লাগেজ বহনকারী রিক্সার ড্রাইভারকে নিয়ে গোয়ালন্দঘাট থানার পতিতাপল্লীতে অভিয়ান করেন। ৩০/০১/২৪ ইং রাত ৩টার সময় ডিএমপির কদমতলী থানার জুরাইন এলাকার মোঃ দেওয়ান বাড়ির ৬ তলা থেকে হত্যাকাণ্ডের মূল আসামি রোজিনা আক্তারকে গ্রেফতার করেন।
জানাযায়, আসামী রোজিনা আক্তার ওরফে কাজল (৩২) লক্ষীপুর জেলা রামগতি থানার, পিতা আবুল কাশেমর মেয়ে। তিনি রাজবাড়ী জেলা গোয়ালন্দ ঘাট থানার এপি -দৌলতদিয়া পতিতাপল্লী (সাদ্দামের বাড়িতে পরিবার নিয়ে বাড়া থাকতেন।
নিহত মিলন প্রমানিক(৩৯) পাবনা জেলা সদর থানার নতুন গোহাইল গ্রামের পিতা কাশেম প্রমানিক এর পুত্র।তিনি রাজবাড়ী জেলায় বিভিন্ন ইটভাটায় কাজ করতেন।
তারি পরিপ্রেক্ষিতে তিনি যৌন পল্লীতে যাতায়াত করতেন। গত২৭/০১/২৪ ইং তারিখ রাত আনুমানিক ২ টায় আসামী রোজিনা আক্তারের সাথে টাকা পয়সা নিয়ে ঝগড়া বিবাদ সৃষ্টি হয়। এক পর্যন্তে রোজিনা আক্তার ক্ষিপ্ত হয়ে নিহত মিলন প্রমানিকে নিজের ওড়না দ্বারায় গলায় পেঁচ দিয়ে হত্যা করেন।
উক্ত অভিয়ানে পুলিশ, ১টি ছাই রঙের লাগেজ,কালো রঙের ১টি কম্বল, সাদা লাল বেগুনী রঙের ১টি বড়বেড শীর্ট ও একই রঙের ৩টি বালিশের কাভার,১টি তালা,সহ পেষ্ট রঙের ১টি ওড়না( যা হত্যা কাজে ব্যবহারিত হয়েছে।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৈলেন চাকমা, কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ হাসানুজ্জামান। ফরিদপুর জেলা পুলিশের কর্মকর্তা সহ প্রিন্ট ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।