তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেলেও কুড়িগ্রামে কমেনি শীতের তীব্রতা। কুয়াশার সাথে তীব্র ঠান্ডায় স্থবির হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। বইছে মৃদু শৈত্য প্রবাহ। সকালে সূর্যের দেখা মিললেও, উত্তাপ ছড়াতে পারছে না। ৯ দিন ধরে এ জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু থেকে মাঝারী শৈত্য প্রবাহ।
আজ মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) সকাল ৯ টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস। গতকাল ছিল ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দিনের অধিকাংশ সময় সূর্যের দেখা মিলছে না। বেলা বাড়ার সাথে সাথে সূর্যের কিছুটা উত্তাপ ছড়ালেও বিকেল হতেই তাপমাত্রা আবারও নিম্নগামী হচ্ছে। শীতের সাথে পাল্লা দিয়ে হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া,শ্বাসকষ্ট, সর্দিকাশি,জ্বরসহ শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। আক্রান্তদের মধ্যে শিশু ও বয়স্কদের সংখ্যাই বেশী। গত ২৪ ঘন্টায় কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের ডাইরিয়া ওয়ার্ডের ১২ শর্য্যার বিপরীতে ৪৮ জন এবং শিশু ওযার্ডের ৪৪ শর্য্যার বিপরীতে ভর্তি আছে ৮৭ জন।
সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের কৃষক আফজাল হোসেন বলেন, বোরো ধান রোপণের জন্যে জমি তৈরি করছি। ঠান্ডা জন্যে ভালো মতো কাজ করতে পারছি না। এইরকম ঠান্ডা থাকার কারণে আমারগুলার সমস্যা হইছে।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, জানুয়ারি মাসের ৩১ তারিখ পর্যন্ত তাপমাত্রা নিম্নগামী থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। তার পরে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে।