চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে নুর মোস্তফা বজল হত্যা মামলার আসামী মোরশেদ আলম (৩১) কে আটক করেছে পুলিশ। রবিবার (২৮ জানুয়ারী) রাত ৯টার দিকে যশোরের অভয়নগর এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে সোমবার সকালে উপজেলার ২নং বারৈয়ারঢালা ইউনিয়নের বহরপুর গ্রামে আসামীর বাড়ী থেকে তার দেখানো মতে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ১টি দেশীয় তৈরী এলজি ও ২ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। আটককৃত মোরশেদ আলম ঐ এলাকার নেছার হুজুর বাড়ীর নুরুল আবছার কালুর পুত্র। এবিষয়ে সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি (তদন্ত) আবু সাঈদ জানান, নুর মোস্তফা বজল খুনের মামলার দুই নং আসামীকে আটক করা হয়েছে। আসামী খুনের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে চট্টগ্রাম সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পঞ্চম আদালতের বিচারক ফারদিন মুস্তাকিম তানসিন এর কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে ১৮৭৮ সনের অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। উল্লেখ্য যে গত ২৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় উপজেলার ২নং বারৈয়ারঢালা ইউনিয়নের পশ্চিম লালানগর এলাকার মৌলভীপাড়া গ্রামে সমাজ সর্দার ও মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি নুর মোস্তফা বজলকে কুপিয়ে ও গুলি করে খুন করা হয়। ঐ সময় কুপের আঘাতে তার ডান হাত শরীর থেকে আলাদা হয়ে যায়। এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী তৌহিদুল এর সাথে নুর মোস্তফা বজলের দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় আদিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছিল। তৌহিদুল ও নুর মোস্তফা বজল পরস্পর আপন মামাতো-ফুফাতো ভাই। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নানা অপকর্মের কারণে এলাকাবাসী তৌহিদুলকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে। এ নিয়ে নুর মোস্তফা বজলের সাথে তৌহিদুলের বিরোধ চলছিল। এর জেরে তৌহিদুলের নেতৃত্বে খুনের ঘটনা ঘটে। এই খুনের ঘটনায় নুর মোস্তফা বজলের পরিবারের পক্ষ থেকে তৌহিদুল ও মোরশেদ আলমকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়। এদিকে খুনের ঘটনার পর থেকেই প্রধান আসামী তৌহিদুল পলাতক রয়েছেন। অন্যদিকে নুর মোস্তফা বজলকে খুনের পর পরই তার পুত্র তাউসিফ ফেরদৌসকে ফোনে খুনের হুমকি দেন তৌহিদুল।