ঢাকার সাভারে মাদক বিক্রির আধিপত্য নিয়ে কিশোর গ্যাংয়ের ‘মামা- ভাইগ্না’গ্রুপের ইসমাইল হোসেন ও ‘ডেঞ্জার’ প্রান্ত গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৭ জন আহত হয়েছে।
শুক্রবার রাত সাড়ে ৯ টায় সাভার মডেল কলেজ সংলগ্ন ডগরমোড়া ঢাল এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কিশোর গ্যাং ‘মামা- ভাইগ্না’ গ্রুপের প্রধান ইসমাইল হোসেনসহ ৩ সহযোগী সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। অন্যদিকে গুরুতর আহত হয়ে কিশোর গ্যাং ‘ডেঞ্জার’ প্রান্ত গ্রুপের প্রধান প্রান্ত সহ ৪ জন সাভার ও ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এ ঘটনাকে ভিন্নখাতে নেওয়ার জন্য পায়তারা চালাচ্ছে একটি মহল। কিশোর গ্যাং ‘মামা- ভাইগ্না’ গ্রুপের প্রধান ইসমাইল হোসেনকে বাদি করে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের আসামি করার পায়তারা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। তদন্ত সাপেক্ষে সাভার মডেল থানা পুলিশের প্রতি প্রকৃত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, কিশোর গ্যাং ‘মামা- ভাইগ্না’ গ্রুপের প্রধান ইসমাইল হোসেন সাভার সদর ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম রুবেলের অনুসারী বলে পরিচিত। কিশোর গ্যাং প্রধান ইসমাইল দীর্ঘদিন যাবত ডগোরমোড়া, শাহিবাগ ও চাঁপাইন এলাকায় মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে আসছিল। কিছুদিন যাবত একই এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের ‘ডেঞ্জার’ গ্রুপের প্রধান প্রান্ত মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালিয়ে আসছিল। এর জের ধরেই শুক্রবার রাতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
তবে প্রকৃত ঘটনা এড়িয়ে মাজহারুল ইসলাম রুবেলের ইন্ধনে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে ইসমাইল পক্ষের অভিযোগ পত্রে রুবেলের প্রতিপক্ষ ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি পলক খানসহ সাভার সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি নুরুল আমিন রানা ও আওয়ামীলীগ নেতা ইমরান হোসেনসহ তাদের অনুসারীদের ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, সাভারের আলোচিত লিংকন হত্যা মামলার অন্যতম আসামী ‘মামা- ভাইগ্না’ গ্রুপের প্রধান ইসমাইল হোসেন। এই মামলায় পলাতক থাকা অবস্থায় দীর্ঘদিন পর পুলিশের হাতে ধরা পড়ে ইসমাইল। দীর্ঘদিন কারা ভোগ করে সম্প্রতি ছাড়া পায় কিশোর গ্যাং প্রধান ইসমাইল হোসেন। জেল থেকে বেরিয়ে সাভার সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম রুবেলের রাজনৈতিক আশ্রয়ে ‘মামা- ভাইগ্না’ কিশোর গ্যাং করে বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছিল তার গ্রুপের সদস্যরা।
অন্যদিকে কিশোর গ্যাং ‘ডেঞ্জার’ গ্রুপের প্রধান প্রান্ত সোহাগ হত্যা মামলার অন্যতম আসামী হয়ে কিশোর হওয়ায় দীর্ঘদিন শিশু শোধনাগারে থেকে সম্প্রতি ছাড়া পেয়ে পুনরায় অপকর্মে জড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে আসছিল।