ফরিদপুরে সদর মাচ্চর ইউনিয়ন দয়ারাপুর গ্রামে জমি দখল কেন্দ্র করে একই পরিবারে এক জন কে হত্যা ও সাত জন কে কুপিয়ে, লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে আহত করার ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনায় ফরিদপুর সদর থানায় ১৪ থেকে ১৫ জনকে আসামী করে মামলা করা হলে আসামীগন মামলা বাদীকে নানা ভাবে হুমকি ধামকি সহ উল্টো একের পর মিথ্যা, বানোয়াট লুটপাটের মামলা দিয়ে বাদীসহ তার পরিবারটিকে হয়রানী করে চলছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
ভুক্তভোগী পরিবার থেকে জানাযায়, ফরিদপুর সদর মাচ্চর ইউনিয়ন দয়ারামপুর গ্রামের মৃত সোনাউল্লা শেখের পুত্রদের সঙ্গে বাপ দাদার পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে একই এলাকার মোঃ হারুন শেখ(৫০)এর সাথে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছিল।
গত ৩০/৮/২২ ইং তারিখ সকাল ১০-১১ টায় মৃত সোনাউল্লা শেখের পুত্র ও নাতিরা জমিতে ধান লাগাতে গেলে ওই গ্রামের মৃত আঃ আজিম শেখের পুত্র মোঃ হারুন শেখের নেত্রীতে ১৪-১৫ জন ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্র সহ লাঠি শোটা নিয়ে বাঁধা প্রদান করলেএক পর্যয়ে তাঁদের দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজিত সৃষ্টি হলে হারুন শেখের লোকজন মৃত সোনাউল্লা ছেলে আঃ সালাম শেখ,আঃ ওহাব শেখ,মোঃ আলী শেখ ও নাতী মঞ্জুরুল ইসলাম,টুটুল শেখ, সাখাওয়াত শেখ, আনোয়ার খান,এবং কালাম শেখ সহ মোট আট জনকে কুপিয়ে, লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে।
স্থানীয় এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার করে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। আহতদের মধ্যেই মোঃ আলী শেখের অবস্থা আশংক্ষজনক হলে কর্মরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে রেফার্ড করেন এবং ঢাকায় চিকিৎসার অবস্থায় থাকা কালীন তাহার মৃত্যু হয়।
এই ঘটনায় ফরিদপুর কোতায়ালী থানায় মৃত মোঃ আলী শেখের ভাতিজা আক্কাস আলী বাদি হয়ে মোঃ হারুন শেখ,জাহিদ শেখ,মোঃ শাহিদ শেখ,মোঃলিয়াকত শেখ, রিপন শেখ, পিতা শহিদ শেখ,তানজিদ শেখ পিতা জাহিদ শেখ, ইকবল শেখ পিতা রব শেখ,স্বপন শেখ, সাকিব শেখ পিতা লিয়াকত শেখ,আরিফ শেখ পিতা মোঃ হারুন শেখ,আয়শা বেগম,বিউটি বেগম,আসমা বেগম সহ অজ্ঞত আরো ১০-১৫
জনকে আসামী করে১/৯/২২ ইং তারিখে
একটি এজাহার দায়ের করেন।যাহার নং১৪১/৪৪৪/৩২৩/৩২৫/৩০৭/১১৪।
এর সাথে ২/৯/২২ইং তারিখে ফরিদপুর কোতায়ালী থানার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল জলিল এজাহারের সাথে পেনাল কোডের ৩০২ ধারা যোগ করে ফরিদপুর বিজ্ঞ সিনিয়র জুটিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে প্রেরন করেন।
তবে আসামীগন আইন প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে থেকে বাদী পক্ষের মামলা করার দেড়মাস পরে ক্ষমতার দাপটে ঢাকা হাইকোর্ট থেকে জামিনে নিয়ে এসে বাধীকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি দিতে থাকে। পাশাপাশি আপস মিমাংসা করার জন্য পায়তারা করতে থাকে। যখন কোন কিছুতেই তারা সফল হতে পারছেনা ঠিক তখনি আসামীগন বাদীসহ তাদের পরিবারের লোক জনের নামে ফরিদপুর বিজ্ঞ অতিঃচীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে একের পর এক মিথ্যা,বানোয়াট, লুটের চার চারটি মামলা দিয়ে হয়রানী করতে থাকে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায়, আসামীদের বিরুদ্ধে এর আগে অনেক বার বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ সহ মানববন্ধন করা হয়েছে। এরা আগে থেকে এলাকায় ভূমিদস্যু নামে পরিচিত, এরা বিগত দিনেও আরো অনেকের জমিজমা জোড় করে দখল করেছে।এদের নামে থানায় আরো অভিযোগ রয়েছে। তারা গোষ্ঠীগাতিতে বেশী লোকজন হওয়ায় তাদের ইচ্ছা স্বাধীনমত চলাফেরা করে থাকে। টাকা পয়সা থাকায় যা ইচ্ছা তাই করে থাকে।
ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন আর ও জানায়, আমরা মিডিয়ার মাধ্যমে আইন প্রশাসন সহ বিজ্ঞ আদালতকে বলতে চাই আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। যা হবার আইনের মাধ্যমে হবে।কেন আমাদের হুমকি ধামকি, ভয়ভীতি, সহ মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করা হচ্ছে। কি করে মামলা থাকা অবস্থায় হত্যাকন্ডের সাথে জড়িত দুই আসামী বিদেশ গমন করে। কেন আমাদের কে সর্বদা আতঙ্কের মধ্যে বসবাস করতে হচ্ছে। কেন আমাদের সম্পত্তি অন্যরা জোড় করে টাকার গরমে দখল করতে চাই। আমরা এর সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সঠিক বিচার চাই।