ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার ইব্রাহিম পুর ইউনিয়ন এর ইব্রাহিম পুর পালবাড়ি বাজারে দোকানঘরের চৌহদ্দি জটিলতায় ক্রেতা বিক্রেতার মধ্যে দখল নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
গত ১৮ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার ইব্রাহীমপুরের পালবাজারের বি এস দাগ পাঁচ হাজার পাঁচ শত চুয়ান্ন দাগের দোকান মালিক তারু মিয়ার ছেলে শাহ আলম তার ছেলে কুতুবউদ্দিন এবং শাহজালাল ও তার ছেলে শিশু মিয়া, গংদের মধ্যে ক্রেতা নেহারা খাতুন ও শহিদ মিয়ার মেয়ে সাজেদা বেগম ওয়ারিস সুত্রে মালিক
সেই সূত্রে তার স্বামী ৮ নং ওয়ার্ডের মোঃ শাহ আলম মিয়া ও তার ভাই ৮ নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার হেকিম মিয়ার সাথে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
সরজমিনে গিয়ে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, ইব্রাহীমপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার আব্দুল হেকিম ও তার ভাই শাহ আলম একই গ্রামের ৯ নং ওয়ার্ডের শাহজালাল ও শাহ আলমের মধ্যে দোকান দখলের জায়গা নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিলো,
এ সময় ৮ নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার হেকিম মিয়া ও তার ভাই শাহ আলম
দোকানে দেয়া বাঁশের বেড়া উপড়িয়ে ফেলে দিলে প্রতিপক্ষের লোকজন এতে বাঁধা দেয়,এতে করে উভয়ের মধ্যে লাঠিসোঁটা নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়।এসময় স্থানীয়রা এগিয়ে এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।
এ বিষয়ে আলমগীর, টুক্কু মিয়া সহ একাধিক প্রত্যাক্ষদর্শী জানান,শাহ আলম, শাহজালাল,সুকানী বেগম সৌদি আরব প্রবাসী শেখ সাদীর নিকট জায়গা বিক্রি করে দেয়ার পর শেখ সাদী তার নামে জায়গা নামজারি করে ভোগদখলে আসছিল,
হঠাৎ করে ৮ নং ওয়ার্ডের হেকিম মেম্বার ও তার ভাই দলবল সহ লাঠিসোঁটা নিয়ে উচ্ছেদ করে দিতে বাঁশের বেড়া উপড়িয়ে ফেলে দেয়,এতে ধাক্কাধাক্কি হয়।
এবিষয়ে জায়গার মালিক শাহ আলম,শাহজালালের ছেলে কুতুবউদ্দিন,সুকানী বেগম জানান, আমরা আমাদের তিন শতক তিপ্পান্ন পয়েন্ট জায়গা শেখ সাদীর নিকট বিক্রি করে দিয়েছি এবং দখল বুজিয়ে দিতে মেপে বাঁশের বেড়া দিয়ে ছিলাম, হঠাৎ করে ৮ নং ওয়ার্ডের হেকিম মেম্বার, ও তার ভাই শাহ আলম আমাদের উপর হামলা করে দোকানের সামনে ভাঙচুর করা সহ বাঁশের বেড়া উপড়িয়ে ফেলে দেয়,আমরা অসহায় মানুষ সরকারের নিকট এর সঠিক বিচার চাই।
তবে দলবল নিয়ে হামলা করার বিষয় টি অস্বীকার করে ৮ নং ওয়ার্ডের শাহ আলম বলেন আমি আমার শশুর বাড়ির সূত্রে জায়গা দোকানের মালিক হয়েছি পাঁচ হাজার পাঁচ শত চুয়ান্ন দাগে চার শতক চুয়ান্ন পয়েন্ট জায়গা ক্রয় করে দোকান নির্মাণ করে ভোগদখল করা অবস্থায় তারা এই জায়গা চৌহদ্দি দেখিয়ে অন্যত্রে বিক্রি করে দেয়,পরে মানিক মিয়া দুলাল মিয়া ও ইব্রাহিম মিয়া, তারু মিয়ার ছেলে শাহ আলম, শাহজালাল এর ছেলে কুতুবউদ্দিন এর নেতৃত্বে
দলবল নিয়ে হামলা করে বাঁশের বেড়া দিতে চাইলে আমরা তা উপড়িয়ে ফেলে দেই এই জায়গার মালিক আমরা,
এ বিষয় এ ৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা মানিক মিয়া জানান আমি বাজার পরিচালনা কমিটির সদস্য হওয়ায় গন্ডগোল শুনে আমি সহ বাজার কমিটির লোকজন কে সাথে নিয়ে দুই পক্ষ কে বুঝিয়ে সমাধান করার চেষ্টা করি, আমি দলবল নিয়ে হামলা করার তো প্রশ্ন ই আসে না, ৮ নং ওয়ার্ডের শাহ আলম ও তার ভাই পূর্ব থেকে ই রাজাকার বংশের লোক ও বিরোধীদলীয়র লোকজন তাই নির্বাচনের পর থেকে সবসময় আমার সাথে ঝামেলা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, যায়গা বা দোকান টি কার জানতে চাইলে তিনি বলেন ক্রয় সূত্রে জায়গা ও দোকানের মালিক সৌদি আরব প্রবাসী শেখ সাদী,
৯ নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার ইব্রাহিম মিয়া বলেন আমি ঘটনাস্থলে এলাকায় ই ছিলাম না আমি মৎস ট্রেনিং এ ছিলাম,
জায়গা ক্রয় করার বিষয় এ জানতে চাইলে সৌদি আরব প্রবাসী সৌদি আরব থেকে মোবাইল ফোনে শেখ সাদি জানান আমি জায়গা সঠিক কাগজপত্র দেখে তা খরিদ করেছি এবং এই জায়গা দোকান বহু বছর যাবত আমার দখলে ই আছে,
এ জায়গা সংক্রান্ত বিষয় টি নিয়ে একটি অভিযোগ হয়েছিল তা জানতে ইব্রাহিম পুর ইউনিয়ন এর বিট অফিসার এস আই আব্দুল মান্নান ও এ এস আই জাহাঙ্গীর আলম জানান
আমরা এলাকার চেয়ারম্যান সাহেব সরদারদের নিয়ে বসে জায়গা সংক্রান্ত বিষয় টি দুই পক্ষের উপস্থিতি তে সমাধান করে দেয় এতে সর্ব পক্ষ ই সন্তুষ্ট হয় পরে শাহ আলম নতুন করে আবার ঝামেলা সৃষ্টি করেন এবং একটি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে তবে আমরা দুই পক্ষের সাথে কথা বলেছি এখন পরিস্থিতি শান্ত আছে,,