কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে ক্রয়কৃত জায়গা বুঝে নেওয়ার অজুহাতে জমিদাতার বাড়ীঘরে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় হামলাকারীরা অর্ধলক্ষ টাকা মূল্যের একটি লিচুগাছ কর্তন করে নেওয়ার চেষ্ঠা করে। বাধাঁ দিতে গেলে প্রতিপক্ষের হামলায় দুই নারীসহ ৩ জন আহত হয়েছে বলে জানা যায়।
গত বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল ১০ টার দিকে উপজেলার গোবরিয়া আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নের বড়চারা গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
এঘটনায় জমি দাতা মরিয়ম বেগমের স্বামী বড়চারা গ্রামের চান্দু মিয়ার ছেলে রবি আওয়াল বাদী হয়ে বড়চারা গ্রামের মৃত মুক্তার উদ্দিনের ছেলে মো. জসিম উদ্দিন (৫৫) ও তার ছেলে সুবল (৩০) এর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত নামা ৩জনের নামে বৃহস্পতিবার বিকালে কুলিয়ারচর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।
অভিযোগ পাওয়ার পর ওই দিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গোবরিয়া আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নের দ্বায়িত্বে থাকা বিট অফিসার এসআই আব্দুল্লাহ আল মামুন ও এসআই সোহেল রানা অভিযোগটি দতন্ত করতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে বলে জানিয়েছেন মামলার বাদী রবি আওয়াল।
রবি আওয়াল আরো জানান, প্রায় ১মাস পূর্বে অভিযুক্ত সুবলের নিকট ৭ শতাংশ জায়গা বিক্রি করেন তার স্ত্রী মরিয়ম বেগম। উক্ত জায়গা বুঝিয়ে দেওয়ার আগেই কাউকে না জানিয়ে সুবল ক্ষমতার দাপটে তার মামাদের প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে জোরপূর্বক তার ক্রয়কৃত জায়গাসহ আমার স্ত্রী ও সালিকার জায়গা দখল করে নেওয়ার চেষ্টা করে এবং আমার স্ত্রীর অর্ধ লক্ষ টাকা মূল্যের একটি নিচু গাছ কেটে নেওয়ার চেষ্টা করে। বাধাঁ দিতে গেলে সুবল ও জসিম উদ্দিন লোকজন নিয়ে আমাদের বসত ঘর ভাংচুরসহ ঘরে থাকা খাবার ও জিনিসপত্র তচনচ করে নষ্ট করে ফেলে দেয় এবং ঘরে থাকা নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লুটপাট করে নিয়ে যায়। এসময় তাদের হামলায় আমিসহ আমার স্ত্রী মরিয়ম (২৮) ও সালিকা লিমা খাতুন (২৪) আহত হই। আমিসহ আহতরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছি। এ ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।