চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলা মৎস্য অফিসের উদ্যোগে ১৭ জানুয়ারী ২০২৪ রোজ বুধবার সকাল সাড়ে এগারোটায় উপজেলা সম্মেলন কক্ষে মৎস্য সম্পদ ধ্বং’সকারী বেহুন্দী ও অন্যান্য ক্ষতিকর অবৈধ জাল, জাগ ও নিষিদ্ধ চাই অপসারণে বিশেষ কম্বিং অপারেশন বাস্তবায়ন বিষয়ক উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার একি মিত্র চাকমার সভাপতিত্ত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মনোয়ারা সুমি, মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ সানোয়ার হোসেন খান, কৃষি কর্মকর্তা ফয়সাল মোহাম্মদ আলী, মোহনপুর কোস্ট গার্ডের ইনচার্জ মোঃ জসিমউদ্দিন, মোহনপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির প্রতিনিধি মোঃ মানিক, বেলতলী নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ বাবর, মতলব উত্তর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি একেএম গোলাম নবী খোকন, মতলব উত্তর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দ্বীন ইসলাম, মৎস্য প্রতিনিধি ওমর আলী সহ আরও অন্যান্য কর্মকর্তা বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানের সভাপতি মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী অফিসার একি মিত্র চাকমা বলেন – অ’বৈধ জাল ব্যবহারের ক্ষতিকর প্রভাব জাটকাসহ অন্যান্য মাছের পোনা নির্বিচারে ধবং’স হচ্ছে, ইলিশসহ অন্যান্য মাছের প্রজনন, বিচরণ ও চারন ক্ষেত্র নষ্ট হচ্ছে, পানির প্রবাহ নদীর নাব্যতা হ্রাস পাচ্ছে, ইংলিশের পরিভ্রমন পথ পরিবর্তিত ও বিনষ্ট হচ্ছে।
সর্বোপরি ইলিশসহ অন্যান্য মাছের কাঙ্খিত উৎপাদন হ্রাস পাচ্ছে। সে জন্য সকলের সহযোগিতা চান। তিনি আরোও বলেন, অ’বৈধ জাল, চাই ও জাগ অপসারণের জন্য জাগ মালিকদের চিঠি দেয়া হবে এবং সকল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের কে অবহিত করা হবে। মৎস্য কর্মকর্তা মনোয়ারা সুমি বলেন, নিষিদ্ধ জালগুলি হলো, বেহুন্দী জাল, কারেন্ট জাল, চরঘেরা জাল, মশারী জাল, পাই জাল, চায়না দোয়ারী জাল ও জাগ এগুলি অদ্য হইতে ফেব্রুয়ারী মাস পর্যন্ত কম্বিং অপারেশন চলবে ও উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটির মাধ্যমে কাজগুলি বাস্তবায়ন করা হবে।
এ আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কমপক্ষে এক বছর থেকে সর্বোচ্চ দুই বছরের সশ্রম কারাদন্ড অথবা পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত করা হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ শফিকুল ইসলাম, সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা রাশেদুজ্জামান, মতলব উত্তর উপজেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আব্দুল লতিফ মিয়াজী, বর্তমান সাধারন সম্পাদক সাধারণ সম্পাদক এমএম সাইফুল ইসলাম, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হোসেন প্রধান ও সদস্য শেখ ওমর ফারুক।