চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ১১ নং ফতেপুর পশ্চিম ইউনিয়নের গোয়াল ভাওর গ্রাম ও লুধুয়া গ্রামের মাঝামাঝি সেচ প্রকল্প কেনেলের পাশে প্রায় ১৪ টি খেজুর গাছ। এই গাছগুলো গোয়াল ভাওর গ্রামের দুলাল( ৪৫) নামে একজন ব্যক্তি রস সংগ্রহ করে থাকেন।এলাকাবাসী সূত্র ও সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় কখনোই রসগুলো বাজারে বা এলাকায় বিক্রি করেন না। সে রাত ১০ টার পর থেকে রাত ৩ টা পর্যন্ত বিক্রি করে থাকে। জানা যায়, চাঁদপুরের বিভিন্ন অঞ্চল সহ দাউদকান্দি, গৌরিপুর, চান্দিনা, হাইমচর, লক্ষীপুর, নানান এলাকা থেকে লোকজন রাত দশটার পরে মটরসাইকল, প্রাইভেটকার নিয়ে এ এলাকায় এসে খাজুরের রসের নাম করে চলে রাতভর মাদক সেবন এবং মাদকের আড্ডা। এলাকাবাসী আরো জানায়,গত চৌদ্দ জানুয়ারি রবিবার রাত দশটার টায়, গোয়াল ভাওর গ্রামের ব্যাবসায়ী সালাম তালুকদার লুধুয়া নয়াকান্দি বাজার থেকে আসার সময় গোয়াল ভাওর গ্রামের গোরস্থান ও মাদ্রাসার মাঝামাঝি সড়কে দুর্বৃত্তরা এলোপাতাড়ি আগাত ও রক্তাক্ত অবস্থায় জখম করে নগদ অর্থ ও মোবাইল নিয়ে পালিয়ে যায়। এলাকার অনেকই জানান, খাজুরের রসকে কেন্দ্র করে তিনটি পয়েন্টে সাধারণ মানুষের চলাচল খুবই ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। নবুর কান্দি বাজার থেকে যে রাস্তাটি লুধুয়া নয়াকান্দি বাজার এবং গোয়াল ভাওর গ্রামের মাঝামাঝি হয়ে লুধুয়া ও দক্ষিণ রাঢ়ী কান্দি থেকে লুধুয়া গোরস্থান পর্যন্ত মাদক ব্যাবসায়ী ও মাদক সেবনকারীরা নিরাপদ রুট হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। এ ব্যাপারে মতলব উত্তর থানার তদন্ত অফিসারকে মুঠোফোনে জানানো হলে
তিনি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।
প্রশাসনের কাছে এলাকাবাসীর দাবি খাজুরে রস বিক্রি বন্ধ না করলে যে কোন সময় ঘটতে পারে মারাত্মক অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা।