সারাদেশে চরমভাবে জেঁকে বসেছে তীব্র শীত। এরই ধারাবাহিকতায় নওগাঁর সাপাহারে তীব্র শীতে অতীষ্ট হয়ে পড়েছে জনজীবন। স্থবির হয়ে পড়েছে নিত্যদিনের কাজ। এই শীতের প্রভাব পড়েছে উপজেলার খেটে খাওয়া নিম্ন মধ্য বিত্ত মানুষের উপর। চরম শীতে কমেছে কর্মচঞ্চলতা অপর দিকে বেড়েছে রোগবালাই। রোগবালাই যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না।
তাপমাত্রা হ্রাস পাওয়ায় শীতে কাবু হয়ে দুর্দশার মধ্যে পড়েছে সাধারণ মানুষ। তীব্র ঠান্ডায় স্বাভাবিক চলাফেরা বিঘ্ন ঘটছে। এই উপজেলায় শীতের তীব্রতা তুলনামূলকভাবে চরমে পৌঁছেছে। শিশু ও বৃদ্ধদের ঠান্ডায় নানা সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। দূরপাল্লার গাড়ি গুলো যাচ্ছে ধীর গতিতে, স্কুলমুখী ছাত্রছাত্রী তীব্র শীতে বিপাকে পড়েছে। গ্রাম্যঞ্চল থেকে কৃষিপণ্য সময়মত বাজারজাত করতে বিঘ্ন ঘটছে কৃষকেরা।
অপর দিকে তীব্র শীতে প্রয়োজনীয় গরম কাপড়ের অভাবে নির্ঘুম রাত কাটে গ্রামের দরিদ্র মানুষের। কাঠ-খড়ের জ্বালানো আগুনের উত্তাপই যেন তাদের ভরসা। অন্যান্য বছর সামাজিক সংগঠন গুলো শীতের শুরুতে কম্বল ও গরম কাপড় বিতরণ করে থাকতো। কিন্তু এখনো পর্যন্ত এই বছরে শীতবস্ত্র বিতরণের কোন খবর পাওয়া যায়নি। হিমেল হাওয়ায় খেটে খাওয়া মানুষগুলো কর্মহীন হয়ে পড়েছে। শীতে কাবু হয়ে পড়েছে গৃহপালিত পশুপাখিও। এদিকে ঘন কুয়াশায় বোরো ধানের বীজতলা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। অনেকেই পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিচ্ছেন বীজতলা। প্রচন্ড শীতে শিশু ও বয়স্করা আক্রান্ত হচ্ছে ঠান্ডাজনিত রোগে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তথ্যানুযায়ী জানুয়ারী মাসের শুরু থেকে এই পর্যন্ত ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা ১৪৩ জন। বেশিরভাগ রোগী ডায়রিয়ায় আক্রান্ত। এর মধ্যে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত নারী রোগীর সংখ্যা ২০ জন, পুরুষ রোগীর সংখ্যা ১৮ জন, শিশু রোগীর সংখ্যা ১০৫ জন, নিউমোনিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৮জন। এনিয়ে গত ১৫ দিনে মোট ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা ১৪৩ জন।
জেলার বদলগাছী আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে আজ জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আদ্রতা ৯৩ শতাংশ।