দীর্ঘদিন ধরে প্রশস্ত না করায় নেত্রকোণা জেলার কলমাকান্দা উপজেলা শহরের প্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ স্থান কলমাকান্দা সরকারি খাদ্য গুদাম সংলগ্ন মোড়টি যেন এক মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়েই সড়কটিতে চলছে যাত্রীবাহী যানবাহন এবং শহরের জনগণ।
উপজেলার সকল যানবাহন চলাচলের প্রধান রাস্তা এটি।
এই রাস্তাটি দিয়ে চলাচল করে ঢাকা গামী বাস, মালবাহী ট্রাক সহ বড় বড় যানবাহন,স্কুল কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী সহ সাধারন জনগণ।
যাতায়াতে বিকল্প সড়ক না থাকায় এই সড়ক দিয়েই চলাচল করে আসছে দূরপাল্লার যানবাহন গুলো।
এই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী যাত্রীদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ;এমনকি মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।
এটি যেন কোনো মোড় নয় এক মরণ ফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে পথচারীদের জন্য।
এই বছর সহ গত কয়েকবছর ধরে প্রতিনিয়ত ঘটছে জীবন নাশের মত দূর্ঘটনা।
জানা যায়, বিগত কয়েক বছরে প্রাণ গিয়েছে তিনজনের এই খাদ্য গুদাম রাস্তার মোড়ে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,রাস্তাটির এক পাশ থেকে অন্য পাশ দেখা যায়না। গাড়ি সরাসরি একটার উপর আরেকটা উঠে গিয়ে যেকোন মুহুর্তেই মৃত্যুর মত ভয়ংকর দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।
পথচারীরা জানান,কলমাকান্দা শহরে প্রধান এই রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করতে হয়। এছাড়াও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, মূমূর্ষ রোগী, হাজার হাজার চাকরিজীবী ছেলে-মেয়ে ও বাস- ট্রাক একই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে। এতে প্রায়ই অনেক বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটে থাকে।
গত ১৭ ডিসেম্বর শুক্রবার উপজেলায় বনভোজনের একটি বাসের চাপায় সকালে এই খাদ্য গুদাম মোড়ে উপজেলার সদর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের মৃত ভুবেন্দ্র চন্দ্র সরকারের ছেলে বকুল চন্দ্র সরকার (৪০) নামে এক হোটেল শ্রমিক নিহত হয়েছেন।
২০১৯ সালের দিকে উপজেলা সদরের খাদ্য গুদাম মোড়ে সিমেন্টবাহী ট্রাকের চাপায় উপজেলার সদর ইউনিয়ন মনতলা গ্রামের মৃত বদ্ধুরাম সাহা’র পুত্র সতীশ সাহা (৭৫) নামের এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন।
এছাড়াও আরো এক নারীর মৃত্য হয় এই গুদাম সংলগ্ন মোড়ে।
জনসাধারণের দাবি, এই গুদাম সংলগ্ন মোড়টির দেয়ালটি যেন প্রশস্ত করে দেওয়া হয়। প্রশস্ত করা হলে দূর্ঘটনার হাত থেকে বেঁচে যায় জনসাধারণ।