চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের লবাইর কান্দি গ্রামের মরহুম গোলাম মাওলার ছেলে মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য সহকারী ও বিশিষ্ট ঠিকাদার শাহজালাল এর খুটির জোর কোথায়? তার বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ তোলেছেন এলাকা বাসী। সরজমিন রির্পোট ও এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা যায়,দূ্র্গাপুর ইউনিয়নের লবাইর কান্দি দাসের বাজার ব্রীজ সংলগ্ন সরকারি খাস জায়গায় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের জন্য একটি অফিস তৈরী করে দিবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন শাহজালাল, তিনি আওয়ামীলীগের অফিস না করে দিয়ে ঐ খানে বিল্ডিং করে দোকান সাজিয়ে তার শশুর মোঃ রমিজউদ্দিন কে লাইব্রেরী দোকান দিয়ে দেদারসে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। তার বিরুদ্ধে অহরহ অভিযোগ এলাকা বাসির। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা অসহায় গরীব দুঃখী মানুষের জন্য গৃহ নির্মান করে দিচ্ছে, তিনি অসহায় গরীব দুঃখী মানুষের গৃহ ঘর না দিয়ে তিনি নীজেই একটি সরকারি ঘর ভোগ করছেন, যেখানে রয়েছে তার ডুপ্লেক্স বাড়ি। তিনি এগুলো করেও থেমে মেই, তিনি তার এক আত্নীয় মৃত ব্যাক্তিকে মুক্তিযোদ্ধা বানিয়ে সরকারের তহবিল থেকে টাকা এনে কবর পাকা করনের কাজ করেন, যেটি সব চাইতে ঘৃণিত কাজ। তিনি কোন অপকর্ম থেকে বাদ যাননি। বিগত দিনে এলাকার জনসাধারন কে বিদ্যুৎ সংযোগ লাইন দিবে বলে প্রায় এক কোটি টাকা হাতিয়ে নেন, তিনি শেখ শফিকুল ইসলাম সফু নামে এক ব্যাক্তির কাছ থেকে মিটার দিবে বলে দশ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। তিনি মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য সহকারী হিসাবে কর্মরত আছেন, ঐ খানে তিনি নিয়মিত কাজ করেননা, শুধু অশুভংকরের ফাকি আর ফাকি। তিনি করেন ঠিকাদারী কাজ ঐ খানে ও রয়েছে অনেক অনিয়ম আর দূ্র্নীতি। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে কথা বলেছেন দূর্গাপুর ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা মোঃ শামীম মোল্লা, লবাইর কান্দি গ্রামের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ রিপন মিয়া, লিটন ভূইয়া, জেলা ছাত্র লীগের সহ-সভাপতি ফকরুল ইসলাম রনি, দূর্গাপুর ইউনিয়ন ছাত্র লীগের সহ-সভাপতি সুব্রত, মুন্সি কান্দি গ্রামের এক গৃহিণী সালেয়া বেগম ও মুন্সির কান্দি গ্রামের ৪ নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য ফারুক মেম্বার সহ লবাইর কান্দি ও মুন্সীর কান্দি গ্রামের অসংখ্য জনসাধারন বিশিষ্ট ঠিকাদার ও স্বাস্থ্য সহকারী মোঃ শাহজালালের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন সেইসাথে তারা কর্তৃ পক্ষের কাছে বিচারের দাবি জানান। আবার অনেকেই চাঁদপুর -২ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য জননেতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম এর দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন। এ দিকে শাহজালাল কে একাধিক বার মুঠোফোন দিয়ে চেষ্টা করে ও পাওয়া যায়নি। গত ১৩ জানুয়ারী দুপুরে মতলব উত্তর উপজেলায় কর্মরত একঝাঁক কলম সৈনিক সরজমিন গেলে এ অভিযোগ শোনতে পান। তবে তার পরিবার পরিজনদের কে বাড়িতে গিয়ে জিজ্ঞেস করা হলে শাহজালাল এর পরিবার পরিজনরা সাংবাদিকদের উপর রেগে যান। সরজমিন তদন্ত করে এর ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য কর্তৃ পক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন এলাকা বাসী।