বঙ্গবন্ধু আমাদেরকে একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র এবং একটি লাল সবুজের পতাকা দিয়ে গেছেন বলেই আমি আজ এই মনিরামপুরের সংসদ সদস্য হতে পেরেছি। বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার প্রতিটি নির্দেশ মেনেই যেন তার উন্নয়নের ধারার সাথে নিজেকে শামিল করতে পারি তার জন্য সর্বতভাবে চেষ্টা করে যাব। মনিরামপুরবাসি যে প্রত্যাশা নিয়ে আমাকে বিজয়ী করেছেন আমি সে সকল প্রত্যাশা পূরণ করতে আপ্রাণ চেষ্টা করবো। তবে, সকল ক্ষেত্রে আপনাদের সহযোগিতা করতে হবে। সব সময় আমার পাশে থাকতে হবে। আজ অভিশপ্ত ভবদহের জন্য ভবদহ পাড়ের বাসিন্দারা ঘরে ঘুমাতে পারেনা। উঠানে পানি, ঘরে পানি, গোয়ালে পানি, সর্বক্ষেত্রে শুধু পানি আর পানি। সরকার স্থায়ীভাবে এ ভবদহের সমস্যা সমাধানের জন্য কম চেষ্টা করেননি। তবে, আমি নির্বাচিত হয়েই অভয়নগরের সংসদ সদস্য মহোদয়ের সাথে ভবদহ সমস্যার সমাধান নিয়ে কথা বলেছি। কেশবপুরের সংসদ সদস্যর সাথে ভবদহ সমস্যার সমাধানের বিষয়ে কথা হয়েছে। আমরা নির্বাচিত তিন সংসদ সদস্য মিলে প্রথমেই লক্ষ্য ভবদহ সমস্যার সমাধান নিয়ে। রোববার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে গণসংবর্ধনার জবাবে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য আলহাজ হাফেজ মোঃ ইয়াকুব আলী জনতার উদ্দেশ্যে কথাগুলো বলেন। নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ও আওয়ামী লীগ নেতা জি এম মজিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক ফারুক হোসেন। সাবেক ছাত্রনেতা সন্দীপ ঘোষের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন – উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মিকাইল হোসেন, গৌর কুমার ঘোষ, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঝাঁপা ইউনিয়ন পরিষদ বারবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান শামছুল হক মন্টু, জেলা কৃষকলীগের স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক ও ঝাঁপা ইউনিয়ন যুবলীগ সাবেক সভাপতি এস এম রবিউল ইসলাম রবি, ঝাঁপা ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম রসুল চন্টা, উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক স,ম আলাউদ্দীন, চেয়ারম্যান পরিষদের পক্ষ থেকে নেহালপুর ইউপি চেয়ারম্যান এম এম ফারুক হোসেন, কাউন্সির আদম আলী, যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মিল্টন, খানপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা মিলন ঘোষাল প্রমুখ। সোনালী ব্যাংকের সামনে প্রধান সড়কে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের সংবর্ধিত নেতা সংসদ সদস্য আলহাজ হাফেজ মোঃ ইয়াকুব আলী তার বক্তব্যে আরো বলেন- এখন থেকে মনিরামপুরে মেধার ভিত্তিতে চাকুরি হবে। দুর্নীতি, চাঁদাবাজি মনিরামপুর থেকে বন্ধ করা হবে। মনিরামপুরকে গড়ে তোলা হবে স্বপ্নের মনিরামপুর। তিনি প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়ে বলেন- মনিরামপুর পৌর এলাকাসহ উপজেলার সবখানে মাদক বন্ধ করতে হবে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে অতীতের মতো আর যেন চাঁদাবাজি না হয় সেদিকে প্রশাসনকে কঠোরভাবে নজরদারি রাখতে হবে। এ ছাড়া তিনি আরো বলেন- মনিরামপুরবাসি শান্তির জন্য ঈগল প্রতীকে আমাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করেছেন। আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন। ভোটারদের মর্যাদা যেন রাখতে পারি সেজন্য সকলকে সহযোগিতা করতে হবে। যারা আমাকে ভোট দেয়নি আমি আজ হতে সকলকে সাথে নিয়ে এ মনিরমপুরকে আধুনিক মনিরামপুর গড়ে তুলবো। আমি মনিরামপুরের মাটি ও মানুষের সাথে আছি এবং থাকব। দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে আলহাজ হাজেফ মোঃ ইয়াকুব আলী ঢাকা থেকে যশোর বিমানবন্দরে পৌঁছলে কয়েক’শ ভ্যান, মোটর শোভাযাত্রার মাধ্যমে মনিরামপুর পৌঁছান। তিনি প্রথম উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। অনুষ্ঠান শেষে সংসদ সদস্য উপজেলা প্রশাসনের সাথে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে মিলিত হন।