তাপমাত্রা কমতে থাকায় রাজারহাটে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। ঠান্ডায় ব্যাহত হয়ে পড়েছে রাজারহাটের মানুষেমানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। তবে গত কয়েকদিনের তুলনায় আজ কুয়াশা কিছুটা কমেছে। তার পরেও রাতে বৃষ্টির ফোঁটার মত পড়ছে কুয়াশা।
আজ বৃহস্পতিবার (৪ঠা জানুয়ারি) সকাল ৭টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ১ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এদিকে শীতার্ত মানুষের জন্য জেলা প্রশাসন থেকে ৪২ হাজার কম্বল উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়েছে।
ঠান্ডার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপাকে পড়েছে শ্রমজীবি,ছিন্নমূল ও অতি দরিদ্র মানুষজন। এ ঠান্ডায় কাহিল হয়ে পড়েছে শিশু ও বয়স্করা। উত্তরীয় হিমেল হাওয়ায় শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত ১৬টি নদ-নদী তীরবর্তী চর ও দ্বীপ চরের মানুষগুলো।
শীত ও কনকনে ঠান্ডা উপেক্ষা কাজে যেতে না পারায় কষ্টে পড়েছে শ্রমজীবিরা।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার নাজিম খান ইউনিয়নের গোলজার হোসেন বলেন, আমি হোটেলে কাজ করি, সকালে পানির কাজ করতে হয়। ঠান্ডার কারণে হাত পা বরফ হয়ে যায়। কয়েকদিন থেকে ঠান্ডা বেশি হইছি। আজ কুয়াশা একটু কম, কিন্তু ঠান্ডার মাত্রা কমে নাই।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র জানান, আজ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে এই জানুয়ারি মাসে ১-২টি শৈত্য প্রবাহের সম্ভবনা রয়েছে।